
ডেস্ক: কঠোর শাসক হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় উঠেছে একাধিক অভিযোগ। এবার দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ গান ‘কে পপ’ শোনার ‘অপরাধে’ সাত জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কিমের বিরুদ্ধে। এছাড়া হাসির উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষাকারী সংগঠনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে অন্তত সাত জনকে প্রাণদণ্ড দিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি ‘কে পপ’ শোনা এবং অন্যান্যদের সঙ্গে শেয়ার করার ‘অপরাধে’ এই শাস্তি।
জানা গেছে, এই ঘটনাগুলো ঘটেছে হেসান প্রদেশে। প্রথম পাঁচ বছরের শাসন কালে মোট ৩৪০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিমের বিরুদ্ধে। কিমের কাকা থেকে শুরু করে দেশের তৎকালীন সেনা প্রধানের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। জানা যায়, সেই সময় কিমের নির্দেশে প্রিয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেখতে ঘনিষ্ঠদের বাধ্য করা হয়েছিল। ওই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষাকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬৮৩ জন কিম-বিরোধী উত্তর কোরিয়ানদের সঙ্গে এই নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে কথোপকথন করার চেষ্টা চলছে।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন শাসক তথা কিমের বাবা কিম জং ইল-এর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, টানা ১১ দিন হাসা যাবে না। এমনকি মদ্যপানও করা যাবে না। ছুটি কাটানো, উৎসবে মেতে ওঠা যাবে না। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই নিয়ম লঙ্ঘনে কড়া শাস্তি পেতে হবে নাগরিকদের।
এমডি/বাংলাবার্তা