
কাইছার হামিদ:
কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেড়ে নিয়েছে অনেকের ঘরবাড়ী। ঘরহারা মানুষের পাশে নেই কেউ! অাশায় প্রহর গুনছে তারা। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত আকর্ষণীয়। যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপও বটে। দেশের বৃহৎ প্রকল্পগুলির মধ্যে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সর্ববৃহৎ ও অন্যতম।
অনুসন্ধনে জানা যায়, মাতারবাড়ী চলমান কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ী হারিয়ে একবারে বাস্তহারা হারিয়ে নিঃশ্ব হয়েছে। এদাঞ্চল থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের একমাত্র অায়ের উৎস্য সাদা হিরা খ্যাত লবণ মাঠ ও চিংড়ী চাষের প্রজেক্টসহ প্রায় পাঁচ হাজার একর চাষবাদকৃত জমি। যার দরূন মাতারবাড়ী-ধলঘাটার প্রায় লক্ষাধিক খেটে খাওয়া মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে এখন কর্মহীন হয়ে দুঃখ, কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তৎসময়ে চলমান প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণের জমি আওতায় থাকা ৪৯টি পরিবারেরর বসতবাড়ী উচ্ছেদ হয়। বাংলাদেশ সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তহারা পরিবারকে
পুনর্বাসনের ৫২টি ঘরের ব্যবস্থা করেছে। তারপরও উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলির মধ্যে প্রায় ৯/১০টি পরিবার পুনর্বাসনের বরাদ্ধকৃত বাড়ী থেকে বঞ্চিত! বরঞ্চ তালিকা প্রণয়নে নিয়োজিত এনজি সংস্থা সুশীলনের কর্মকর্তার ব্যাপক কারসাজি তথা অনৈতিক কর্মকান্ডে বিনিময়ে তাদের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ তোলেন ভোক্তভুগিরা। পুনর্বাসনের নির্মিত ৫২টি ঘর বরাদ্ধ থাকলেও অদ্যাবধি একটা ঘরও খালি নাই! সেসুবাদে রোয়দাদে নাম না থাকা পরিবারও পুনর্বাসনের বরাদ্ধকৃত ঘরের মালিক! আসল ক্ষতিগ্রস্ত বাস্তহারারা এখন পরবাসে!
পুনর্বাসনের ঘর থেকে বঞ্চিত পরিবারের পক্ষে মৃত মোঃ হোসনের পুত্র আব্দু জব্বার (রোয়েদাদ নং- ২৯) জানান- আমাদের বসতবাড়ী একেবারে চলমান প্রকল্পের ভিতরেই ছিলো। যা এলাকার সবাই অবগত আছেন। এবিষয়ে বিভিন্ন সময় মানববন্ধনসহ সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছিলো। তারপরও ন্যূনতম কোন ফলশ্রুতি হয় নাই।
সরকারের বৃহৎ প্রকল্পের জন্য বাড়ী ঘরের সাথে সাথে ত্যাগ করতে হয়েছে যতকিছু চাষী জমিও। রোয়েদাদে নাম থাকার পরও ভাগ্য জোটেনি পুনর্বাসনে নির্মিত বরাদ্ধের ঘর। নিয়োজিত এনজিও বিবিসিএস এর এরিয়া ম্যানেজার মোঃ মফিজুল ইসলামের কারসাজিতে আমার নামসহ অনেকের নাম বাদ পড়ে পুনঃবাসনের ফাইনাল তালিকা হতে। বিষয় এমপি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও অবগত করা হয়েছে। তাই ভোক্তভুগিরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তাক্ষেপ কামনা করেন।
মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আযাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়।
তবে এসবের দায়িত্ব সুশীলনের এনজিও এর।
কেএইচ/এমএইচ/বাংলাবার্তা