নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড হেদায়াত আলীর বাড়ীর মরহুম রাজা মিয়ার ছোট ছেলে এম সেলিম উদ্দিনকে (৪০) তাঁর স্ত্রী কুনছুমা সিদ্দিকা প্রিয়া (৩০) নিজ হাতে সুপারি গাছের টুকরো দিয়ে আঘাত করে আহত করে। আহত সেলিমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের বোন পারভিন জানায়, আমার ভাই গত সাত দিন ধরে টাউনে আমার বাসায় ছিল। বউয়ের অত্যাচারে নিঃঘুম রাত্রিযাপন করত আমার ভাই। দীর্ঘ দুই বছর হলো আমার দেশে ফিরেছে। দেশে আসার পর থেকে আমার ভাইয়ের বউয়ের অত্যাচারের সীমা ছিল না। ঘর থেকে বাহির করে দিয়ে আমার ভাইকে খুঁড়ে ঘরে থাকতে দেয়া হয়েছে দেড় বছর ধরে। রাতে বাসায় ঢুকলে কিরিস দিয়ে ধাওয়া করতো, রাতে ভাত দিতো না, পানি দিতো না। কিছু খাওয়া জন্য চাইলে দা,বটি, কিরিস দিয়ে সারা-বাড়ি দৌড়াত এ মহিলা। এ জল্লাদ মহিলাটি বার বার ডিভোর্স চাইতো, কিন্তু আমার বিদেশ ফেরত ভাইয়ের অর্থকড়ি স্বচ্ছল না থাকায়, দুইটি ছেলে-মেয়ের দিকে থাকিয়ে সংসার করতো।
তিনি আরও বলেন, এ মহিলা বিভিন্ন ছেলের সাথে ইমুতে/মেসেঞ্জারে স্থানীয় পর-পুরুষের সাথে ফোনে অশ্লীল কথা-বার্তা বলতো, ভিড়িও কলে না ধরনের কুকর্মতে লিপ্ত ছিল। এসব কিছু আমার ভাইয়ের সামনেই করতো, কিন্তু দুইটি অবুঝ সন্তানের দিকে তাকিয়ে আমার ভাই ডিভোর্স দিতে চায় নি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রিয়া নামের মহিলাটি সামাজিক মিড়িয়া ফেইসবুক মেসেঞ্জারে অনেক ছেলেদের সাথে কথা বলতো। প্রেম করতো। স্বামীকে না বলে, রিজার্ভ সিএনজি করে নানা জায়গায় ঘুরতে চলে যেতো। স্বামী সেলিম এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান, থানা-পুলিশ আইন আদালতে দৌড়িয়ে এর কোন সুরহা পাইনি।
পরে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের এস আই আকরাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে, লাশের সুরহতাল প্রতিবেদনের জন্য লাশটিকে মর্গে পাঠানো হয়। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মাসুদুল আলম বলেন,আমরা লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি।এবং বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
এমএম/এমএইচ/বাংলাবার্তা
