লংকানদের সঙ্গে তর্কে জডিয়ে ডিমেরিট পয়েন্ট ও জরিমানার শিকার হলেন হৃদয়

150

বাংলাবার্তা প্রতিবেদন:

শনিবার শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুপুর তিনটায় টস হেরে ব্যাটিংয়ের জন্য মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা।

শ্রীলঙ্কানরা ২০ ওভার খেলে রান করে ১৭৫ তার মধ্যে ম্যান্ডিসের ব্যাট হতে রান আসে অর্ধশতক।

শ্রীলঙ্কানদের দেয়া ১৭৫ রান তাড়া করতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে না যেতেই বাংলাদেশের উইকেট চলে যায় ৫ উইকেট।থুসারার এক ওভারে হেট্রিক। থুসারার ওভারে শান্ত আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন হৃদয়। তার দ্বিতীয় বলে ১ বলে (০) রান করে আউট হন হৃদয়।

হৃদয় আউট হওয়ার পর তাকে উদ্দেশ্য করে লংকানদের মধ্যে কেউ একজন তাকে উস্কানি মূলক কথা বলায় মেজাজ হারিয়া ওই লংকান ফিল্ডারের দিকে তেড়ে যান হৃদয়। তার সাথে তর্কেও জডান বাংলাদেশি এই মারকুটে ব্যাটার।
আম্পায়ার তানভির ও ফিজে সৌম্য সরকারের হস্তক্ষেপের পর শান্ত হন এই ব্যাটার।

লঙ্কানদের দিকে তেড়ে যাওয়ায় হৃদয়কে আইসিসির সাজা, জরিমানার সাথে পেলেন ১ টি ডিমেরিট পয়েন্ট।

শাস্তি নির্ধারণ করে আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় আউট হওয়ার পর লংকান খেলোয়াড়দের সঙ্গে হৃদয়ের আচরণ ছিল ‘আক্রমণাত্মক’ ও ‘অসংগতি পূর্ণ’। যা খেলোয়াড ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য আইসিসির প্রণিত আইন অনুসারে ২.২০ ধারা ভঙ্গ করেন এই ব্যাটার যার কারনে তাকে ১ টি ডিমেরিট পয়েন্ট ও ম্যাচের ১৫ শতাংশ জরিমানা দায়ের করা হয়।

আইসিসি জানিয়েছে, হৃদয়ের বিরুদ্ধে মাঠের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত ও তানভীর আহমেদ, তৃতীয় আম্পায়ার গাজী সোহেল ও চতুর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান অভিযোগ গঠন করলে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট শাস্তির রায় দেন। হৃদয় দায় স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

শাস্তি হিসেবে পাওয়া হৃদয়ের ১ ডিমেরিট পয়েন্ট ২৪ মাস কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে মোট চার বা এর বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয়। দুটি সাসপেনশন পয়েন্টের কারণে এক টেস্ট বা দুই ওয়ানডে কিংবা দুটি টি-টোয়েন্টি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।