চবি প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ ১৮মাস পর কমিটি দেয়া হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের। কিন্তু কমিটি হওয়ার পর থেকেই কমিটিকে ভেঙ্গে দেয়ার লক্ষ্যে বর্তমান কমিটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে স্বার্থান্বেষী মহল।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বিরুদ্ধে একটি এডিটেড ভিডিও দিয়ে মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়,ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল তার বোনকে নিয়ে নগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের আবাসিক হোটেল নিউ স্টারে যান।
প্রথমে রেজাউল হক রুবেল হোটেলটির অভ্যর্থনা কক্ষে আসেন।পরে তার পেছন পেছন তার বোনকে আসতে দেখা যায়। তারা দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে একই ফরম পূরণ করেন। ফরম পূরণ শেষে পাশে থাকা তার বোনকে দিয়ে রুবেল স্বাক্ষর করান।
ফরমে স্বাক্ষর শেষ করে তার বোন চলে যান হোটেলের নির্ধারিত কক্ষের দিকে। এ সময় রুবেল তার দুটি মানিব্যাগ থেকে টাকা দেন রিসিপশনে থাকা কর্মকর্তাকে। এরপর রুবেলও তার বোনের পেছন পেছন যেতে থাকেন।
পরে আবার দেখা যায়, তার বোন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে হোটেলটির কক্ষ থেকে বেরিয়ে লবিতে আসেন রুবেলও। তারা সিঁড়ি দিয়ে একসঙ্গে নামলেও দুই জন আলাদা হয়ে বেরিয়ে যান হোটেল থেকে।
তবে এঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেছেন চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল। তিনি বলেন,‘আমার বোন ঢাকা থেকে আসছিল। আমি আমার বোনকে নিয়ে হোটেলে গিয়েছি। হোটেলের রুম ভাল না হওয়াতে আমি আবার চলে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ নেতা হয়েছি বলে কি মা-বোনকে নিয়ে চলাফেরা করতে পারবো না। এই রকম হলে তো আমার মা-বোনদের সাথে চলা বন্ধ করে দিতে হবে। আর যারা ভিডিও ফুটেজ নিয়েছে তারা অন্যায় করেছে।’
বোন হলে ফরমে ‘স্বামী-স্ত্রী’র উল্লেখ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলা ভূয়া ফরম ভাইরাল করতেছে। কিছু মানুষ আমার পেছনে লেগেছে— এগুলো তাদের কাজ।’
রুবেল আরো বলেন, আমি আইনের আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন হইলে, অবশ্যই নিবো। আমি আমার নেতা এবং অবিভাবকের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেল ম্যানেজার মীর্জা বলেন, হ্যাঁ এসেছিলো ওনি ওনার বোনকে রুম ম্যানেজ করে দিতে এসেছিলো? রুম পছন্দ হয়নি ওনি চলে গিয়েছেন।
এফএম/বাংলাবার্তা