নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় ১৮ বছর ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আফগান যুদ্ধ আর তালেবান। এই ১৮ বছরে কত যে রক্ত ঝড়েছে,কত সংঘাত -প্রতিঘাত হয়েছে, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আক্রমণ -প্রতিআক্রমন হয়েছে তার হিসেব নেই। কখনও দ্বি পাক্ষিক কখনও বহু পাক্ষিক এই সংঘাতে নিরহ বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আকাশ ছোঁয়া। তারা বারবার বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলছিল যুদ্ধ বন্ধ করতে। কিন্তু আফগান এ তালেবান শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে এই ভেবে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে ও হলনা। তবে বেশ কয়েক দশক ধরে যুদ্ধরত তালেবান শক্তি একেবারে কোণ ঠাসা হয়েছে।
ইতিমধ্যে তারা তাদের প্রথম সারির প্রায় সব নেতাকে হারিয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, ন্যাটো জোট এবং আফগান সরকারের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে তারা তাদের ব্যাপক জনবল হারিয়েছে। কমে গেছে তালেবান প্রভাবিত অঞ্চল। এমনকি আফগানিস্তানে তারা নিষিদ্ধ হয়েছে বহু আগেই। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাব পেয়ে নাখোশ করেনি তালেবান। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি হয়। সেখানে আফগানিস্তানের শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয় আমেরিকার আফগান থেকে তাদের সৈন্য ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করবে। সেখানে বলা হয় আফগান সরকার ৫০০০ তালেবান সেনাদের মুক্তি দেবে এবং তলেবানরা তাদের কাছে বন্দী থাকা ১৫০০ জন আফগান সেনাদের মুক্তি দেবে। কাতারে রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত এই চুক্তিত উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
তবে ০৭ এপ্রিল মঙ্গলবার তালেবানের মুখপাত্র সুসাইল শাহীন এক টুইট বার্তায় জানান যে সম্প্রতি আফগান সরকারের সাথে তাদের বৈঠকটি হচ্ছে না তিনি এর কারন ও তার টুইট বার্তায় উল্লেখ করে বলে আফগান সরকার এক অজুহাত থেকে অন্য অজুহাত দিয়ে তাদের বন্দীদের মুক্তি বিলম্বিত করছে।
তালেবান চায় আফগান জেলে থাকা তাদের ১৫ জন শীর্ষ নেতাদের প্রথমে মুক্তি দেওয়া হোক। তবে আফগান সরকার তা একেবারেই চায় না। কিন্তু চুক্তি রক্ষার জন্য তারা ১০০ জন সাধারণ তালেবান সেনাদের মুক্তি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আফগান জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জাহিদ ফয়সাল বলেন, ” ১০০ জন তালেবান বন্দীদের মুক্ত করে দেওয়া হবে। আমরা শান্তি চুক্তি বজায় রাখতে আমাদের করনীয় কার্য করেছি। আশা করি, শান্তি প্রক্রিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা