বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, মেয়রের পদ বড় না, রাজনীতিটাই বড়। কেউ যদি বলত তিনি মেয়র হতে চান, আমি ছেড়ে দিতাম। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে দলই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ সব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাছির বলেন, বিশ্বাস করেন, মেয়র পদ না পেয়ে আমি কোনোভাবে হতাশ, বিক্ষুব্ধ বা নিরাশ হইনি। তবে একটি বিষয় আমাকে কষ্ট দিয়েছে। যে সংগঠনের জন্য জীবন-যৌবন দিয়েছি, তারাই আমাকে বঙ্গবন্ধুর খুনির দোসর বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে। অথচ আমি প্রথম পরিকল্পনা করে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল (অব.) রশিদের সভায় হামলা চালিয়েছিলাম। ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করে চট্টগ্রাম থেকে তাড়িয়ে ছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ’৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে সর্বপ্রথম আমরা পাঁচ-ছয়জন মিছিল করেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘মেয়র প্রার্থী মনোনয়নের তিন দিন আগে একজন আমাকে ফেসবুকে দেখাল আমি নাকি যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সঙ্গে আঁতাত করেছি। আকরাম খান নামে যাকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদের পরিবারের সদস্য বলা হচ্ছে, তার সাথে আমার অনেক পুরানো পরিচয়। অথচ আমি তাকে চিনি না। আমি অক্সিজেন এলাকায় তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেছিলাম। এ সময় কারা আমার পেছনে ছিল বা কে বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ পরিবারের সদস্য তা আমার জানা ছিল না। তাদের সাথে আমার দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। এ অপ-রাজনীতি আমাকে কষ্ট দিয়েছে।’
নাছির আরও বলেন, ‘শতভাগ মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার কোনো মানে হয় না। মনে রাখতে হবে, আমরা অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছি। আরেকজন আ জ ম নাছির তৈরি করতে অনেক বছর সময় লাগবে।’
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. আলী, সাধারণ সম্পাদক ম. শামশুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, শহিদুল আলম, মহসিন চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর প্রমূখ।