চীনের প্রধানমন্ত্রীর উহান সফর কিসের সংকেত?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ( নিজস্ব প্রতিবেদক)

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের কথা মনে আছে? পৃথিবী এই দিনটিকে মনে রাখুক বা নাই রাখুক চীন সরকার কিন্তু এই দিনটিকে মনে রাখবেই। দুঃস্বপ্নের মত এই দিনে চীনে ভেসে এসেছিল মহাবিপদের অশনিসংকেত।

এ বছর জানুয়ারী থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। এমনকি অভ্যন্তরীন যোগাযোগে ও করা হয়েছে শিথিলতা। স্কুল কলেজসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ আছেই। এমনকি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বেসরকারী কোম্পানিও।

বর্তমান চীনে বিরাজ করছে ভুতুড়ে থমথমে অবস্থা। রাস্তাগুলো সব জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে। করোনার এই নীরব প্রলয়ঙ্কারী আচরনে ধসে পড়েছে চীনের অর্থনীতি। চীনকে বলা হয় পৃথিবীর কারখানা। বর্তমান বিশ্বে ওষুধ, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, স্মার্টফোন, গাড়ির যন্ত্রাংশ, তৈরী পোশাকসহ বেশ কিছু শিল্পের জন্য চীনই হল সবচেয়ে বড় উৎপাদন ক্ষেত্র। তাই বর্তমানে বৈশ্বিক বানিজ্যে চীনের অবদান ১৮ শতাংশ। তবে করোনার আক্রমণে তা এখন ধ্বংসের পথে।

আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সংস্থা জানায় করোনা ভাইরাসের কারনে চীনের অর্থনীতি ৪২ ভাগ ধ্বংস হয়েছে। তবে চীনের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রকোপ কমেছে। এমনকি অনেক আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু করোনার প্রকোপ একেবারেই কমেনি এখনো। এরই মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং ১০ই মার্চ হুবেই প্রদেশের রাজধানী, যেখান থেকে করোনার বিস্তার শুরু সেই উহান শহরে সফর করেন। সেখানে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন, চিকিৎসকদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও রোগীদের সাথে দেখা করেন। পরে তিনি একটি ভাষন দেন।

তবে চীনের আরও অনেক শহর আছে যেখানে করোনার ব্যাপক প্রভাব। তাহলে শি চিন পিং সেখানে না গিয়ে উহানে গেলেন কেন? এর কারন একটাই শি চিন পিং বিশ্ব সম্প্রদায়কে বুঝাতে চায় যে চীন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মুক্ত। নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করার জন্যই চীনের এই পদক্ষেপ, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা