আরিফ আজাদের বই নিয়ে যে আলোচনা প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সবার!

বাংলাবার্তা ডেক্স:

আরিফ আজাদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি। ইসলামি সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ তার। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ লিখে আলোচনায় আসেন। বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের ফারাকটা তার লেখনীতে উঠে আসে স্বচ্ছ কাচের মতো স্পষ্ট রূপে। একে একে লিখেছেন আরও বই,করেছেন সম্পাদনাও। এবারের বইমেলায় তার একক মৌলিক গ্রন্থ “বেলা ফুরাবার আগে” প্রকাশিত হয়। বরাবরের মতো পাঠকের সর্বোচ্চ চাহিদার তালিকায় উঠে এসেছে বইটি। বই নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে অনলাইন অফলাইন সর্বত্র। কেউ ছবি তুলে ফেইসবুকে দিচ্ছেন নিজের মতো ক্যাপশন জুড়ে দিয়ে আবার কেউ লিখেছেন ভালো লাগা আর নিজের পরিবর্তন নিয়ে। কেমন করে আরিফ আজাদের বই তাদের জীবনকে বদলে দিচ্ছে। তেমনই বইটি নিয়ে আলোচনা সবার প্রোফাইলে দৃশ্যমান। সেই আলোচনাটি হুবহু তুলে ধরা হলো –

বই: বেলা ফুরাবার আগে
লেখক: আরিফ আজাদ
প্রকাশনী: সমকালীন প্রকাশন

কোন এক সাহিত্যিকের ভাষ্যমতে নগ্নতা দুই প্রকার

ক.কাপড় না পরা
খ.বই না পড়া
বাহ্যত দৃষ্টিতে আমরা কাপড় না পরাকেই নগ্নতা বলে অভিহিত করি,যা লোকচক্ষুর দৃষ্টিগোচর হয়!

কিন্তু বই না পড়া যে এক প্রকার অদৃশ্য নগ্নতা তা আমাদের অনেকেরই অনুধাবনের ক্ষমতা নেই কিংবা অনুধাবন করার চেষ্টা ও করিনা ।দৃষ্টির অন্তরালের এই অদৃশ্য নগ্নতাকে আমরা যতদিন দূর করতে না পারবো ততদিন আমাদের অন্তর্চক্ষু শেকড়ের সন্ধানে ভোরের সূর্যের মিষ্টি মধুর আলোর দেখা পাবে না, অজ্ঞানতার আস্তাকুঁড়ে পড়ে থাকবে আমাদের ভুত-ভবিষ্যত!

নগ্নতা দূরীকরণে বর্তমানে সাহিত্য অঙ্গনে যে জাগরণের জাগ্রত জোয়ার বইছে চারদিকে,ছড়িয়ে পড়েছে অন্ধত্ব দূর করার মশাল,আলোর মিছিল বের হয়েছে তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে,সেই জোয়ার ,সেই জাগরণের অগ্রদূত সাজিদ এখন তরুণের আদর্শ,বিশ্বাসী হৃদয়ে বিশ্বাস মালা গাঁথার ফুল,অবিশ্বাসী হৃদয়ের ভাঙচুর করে বিশ্বাসের ইমারত গড়ার এক জীবন্ত নির্মাণশৈলী!

তরুণ সমাজ এখন আর হিমু হয়ে হলুদ জামা গায়ে তপ্ত মরুর বুকে ঘুরে বেড়াতে,রাতের জ্যােৎস্নায় অবগাহন করতে চাইনা,চাই না এক জীবন অবলীলায় অবহেলায় কেটে যাক ভ্রান্তির বেড়াজালে!

প্রতিটা তরুণের মনোবাসনা মনে প্রাণে “সাজিদ হবার প্রাণান্ত চেষ্টা” ।সাজিদের রুপে নিজেকে একবার পরিবর্তনের ছোঁয়ায় রাঙাতে চাই,চাই মরিচীকার মতো ধূসর জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাতে!

সাজিদের জীবনের অভিজ্ঞতা,যাপিত জীবনের প্রতিবন্ধকতা,নীড়ে ফেরার প্রচেষ্টার পথে থাকা বাধা বিঘ্নতার জীবন্ত কিংবদন্তি আরিফ আজাদ ভাইয়ের “বেলা ফুরাবার আগে বইটি”!

আমরাও একেকজন সাজিদ হওয়ার প্রচেষ্টায় যে সকল জাগতিক প্রতিবন্ধিতার বেড়াজালে আটকে থাকি,আটেক যায়,উঠে দাঁড়াতে পারিনা,”বেলা ফুরাবার আগে ” তাদের জন্য উত্তম পাথেয় হিসেবে সহায়ক হবে বলে মনে করি!

আমি এক ক্ষুদ্র ইনসান,আমার মতো মানবের শব্দ ভান্ডার খুবই সীমিত,যে সকল শব্দের অলংকরণে সাজিদ এর জীবনের বেলা ফুরাবার আগে নীড়ে ফেরা উপাখ্যান অলংকৃত করা প্রয়োজন,সেই শব্দ ভান্ডার আমার ভান্ডারে অপর্যাপ্ত!আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্রিয় পাঠক মহল।

এবার ঘুম ভাঙ্গুক
চোখ মেলে দেখা হোক বাইরে অপেক্ষামাণ
নতুন দিনের পৃথিবী
নতুন ভোরের সোনারঙা রোদে
ঝেরে ফেলা যাক একজীবনের সমস্ত ক্লান্তি

জীবনের বেলা ফুরাবার আগে নীড়ে ফেরা হোক
এবার নতুন করে জীবনের জ্যামিতি লেখা হোক।

বাংলাবার্তা/আরএইচ