নোয়াখালীতে ছেলের অনিচ্ছায় বিয়ে, হত্যার হুমকি ও হামলার অভিযোগ কনেপক্ষের বিরুদ্ধে

153
নিজস্ব প্রতিবেদক:
 

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার পূর্ব ফতেহপুর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে মো. কামাল উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে এবং সম্পূর্ণ অমতে বিয়ের কারসাজির পর এবার হত্যার হুমকি ও বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে কথিত কনেপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে নোয়াখালী জজকোর্টে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন।

 
এ মামলায় বিবাদী করা হয় ৫ জনকে। এর মধ্যে রয়েছেন কনে জুলেখা আক্তার, কনের উকিল মো. মিজানুর রহমান, কনের সাক্ষী সাজ্জাদুল ইসলাম, মো. সওকত আলী ইমন এবং বসুরহাট পৌরসভার ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার এ এম এম রেজাউল করিম।
 
নোয়াখালী জেলা জজ ১ম আদালত বরাবর দায়ের করা (৮৭ নং দেওয়ানী/২০২০) মামলায় বাদী মো. কামাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘বিবাদীগন এলাকার ছেলেমেয়েদেরকে বিভিন্ন কৌশলে এবং জোর পূর্বক বা মারধর করে কিংবা আটক করে বিয়ের কারসাজি করা তাদের পেশা। বাদীর পরিবারের সঙ্গে বিবাদী পরিবারের দীর্ঘদিন মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। ফলে দীর্ঘদিন থেকে কিছু স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করছেন বিবাদীরা।
 
তারই ধারাবাহিকতায় বিবাদীরা পরিকল্পিতভাবে ফেনী থেকে আসার পথে কোম্পানীগঞ্জের একটি বাসায় আটকে রেখে বাদীর কাছ থেকে বিভিন্ন সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। পরবর্তীতে এলাকার মুরব্বিদের সহযোগিতায় বাদীকে উদ্ধার করে বাদীর পরিবার। এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলেও মুরব্বিদের আশ্বাসে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেননি বাদীপক্ষ। এরপর থেকে দীর্ঘদিন কামাল উদ্দিনকে হুমকিধামকি দিতে থাকে বিবাদী পক্ষ।
 
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিবাদী জুলেখা আক্তার বাদি কামাল উদ্দিনকে বিয়ের কাবিনের কথা বললে বাদী খোঁজ নিয়ে দেখেন গত ২ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে একটি কাবিন করা হয়েছে। যার ক্রমিক নং ০১, পৃষ্ঠা ৬৯। এ কাবিনের নকল কপি কামাল উদ্দিন সংগ্রহ করে প্রতিবাদ জানালে পর্যায়ক্রমে তাকে হুমকি দিতে থাকে বিবাদী পক্ষ। এ ঘটনায় বাদী কামাল উদ্দিন গত ২৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জজকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
 
বাদী কামাল উদ্দিন বাংলাবার্তাকে বলেন, জজকোর্টে মামলাটি পক্রিয়াধীন। তাছাড়া এ মামলায় বিবাদী পক্ষও অংশ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এরপরও তারা আমাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি গত ৭ ডিসেম্বর তারা লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। পরবর্তীতে কবিরহাট থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা বিষয়টা মিমাংসা করি।
 
তিনি বলেন, কিন্তু এরপর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমার সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হয়। অনুমতি ছাড়া আমার ছবি প্রকাশ ও বিনা অনুমতিতে আমার কথা রেকর্ডিং করে সেটা প্রচার করা হয়।
 

এছাড়াও বিবাদী জুলেখা আক্তারের একটি সন্তান রয়েছে, যার বয়স ১৫ বছর। সর্বোপরি আমাকে সামাজিকভাবে হেনস্তা ও হয়রানির যে চক্রান্তে তারা নেমেছে, আমি এর সঠিক বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

 
 
এমএইচ/বাংলাবার্তা