Sunday, November 16, 2025
Homeশিক্ষাক্যাম্পাসছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা-সন্ত্রাসী বের হয়- সুভাষ মল্লিক সবুজ

ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা-সন্ত্রাসী বের হয়- সুভাষ মল্লিক সবুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রলীগ থেকে এখন গুন্ডা-সন্ত্রাসী বের হয়। ছাত্রলীগ কিভাবে করতে হয় আমরা জানি। হাজার হাজার সংগঠক এখান থেকে আমি (চট্টগ্রাম কলেজ থেকে) তৈরি করেছি। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অনুসারীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক একটি অনলাইন টিভিতে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বক্তব্যটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

পটিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক
গোফরান রানা লিখেন, জানি না তাকে কে বা কারা সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে? বক্তব্যটি শুনে মনে হল মেধাবীদের, ইতিহাস ঐতিহ্যের মেধাবী, সাহসী সংগঠনটি এভাবেই কি তারা কলংকিত করবেন? এদের নেতা কারা জানি না?  তবে দলের আর ও বড় ক্ষতি হওয়ার আগেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ছাত্রলীগকে সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কলঙ্কিত করল। এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, সে যত বড় নেতাই হউক। খেয়াল রাখতে হবে এই সেই ছাত্রলীগ যার প্রতিষ্টাতা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই কুলাঙ্গার সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হউক। সে যেন কোন প্রকারেই ছাড় না পাই, সেই প্রত্যাশাই থাকল। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি এইচ এম ইফরান চৌধুরী নয়ন লিখেন, একটা সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সন্ত্রাসী ও গুন্ডা বের করার সংগঠন বলে কি বুঝাতে চাই এই সাধারণ সম্পাদক? এরকম মুখের ভাষা একজন ছাত্রলীগের নেতার মুখে কোন রকম শোভা পাই না। ধিক্কার জানায় এমন নেতাকে যে কিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন মহল বলছেন,আগামীর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগের বিকল্প নেই। আর সেই ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা সন্ত্রাসী বের হয় বলে দেওয়া বক্তব্য জাতির জন্য খুবেই বেদনাদায়ক ও হুম্মকি। ছাত্রলীগ যদি গুন্ডা ও সন্ত্রাসী তৈরি করার মিশিন হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব হবে না। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিকের বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ছাত্রলীগ অনেক নেতারা সুভাষ মল্লিককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী এই প্রতিবেদক বলেন, তার (সুভাষ মল্লিক) বক্তব্য প্রসঙ্গে জেনেছি। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের সাথে কথা হয়েছে। বক্তব্যটা সরাসরি শুনিনি বলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হওয়া, কলেজ সাধারণ সম্পাদকের  আগ্রাসনী বক্তব্য এবং আহত শিক্ষার্থীদের আইনগত কোন বিচার না পাওয়া ও ভাংচুর ইত্যাদির পিছনে কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু বলেন, একজন দায়িত্বশীল ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে তার গতকালে বক্তব্য দুঃখজনক এবং অনুচিৎ।

সম্পৃক্ততার বিষয়ে বলেন, আমি দেশের বাইরে থাকলেও আমার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিরা আমাকে জড়িয়ে দিবেন। ছাত্রলীগ বা কলেজের ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে আমার মাথা ঘামানো বা এলাক থেকে ছেলে পাঠাবো কেন। তিনিও ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের সাংগঠনিক শাস্তি ও যারা শিক্ষার্থীদের আহত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

 

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments