Friday, July 18, 2025
Homeশিক্ষাক্যাম্পাসস্ট্রোক : লক্ষণ ও বাঁচার উপায়

স্ট্রোক : লক্ষণ ও বাঁচার উপায়

মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারনে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়। বিশেষ করে রক্তনালী বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালী ছিড়ে মস্তিষ্কে এই রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন আর পুষ্টিগুণ। ফলে অক্সিজেনর অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারন হলো উচ্চরক্তচাপ। সারাবিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক।

গতকাল ২৯ অক্টোবর ছিল বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। সচেতনতা আর নিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কমানো যায়। স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- মুখ একদিকে বেঁকে যাওয়া, হাত তুলতে না পারা, কথায় অস্পষ্টতা। এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে রোগীকে।

গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ৬ জনে ১ জনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে।স্ট্রোকে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ ভাগ মারা যায়, আর ৩০ ভাগ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারা বেঁচে থেকেও দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন।

স্ট্রোক পরবর্তী জটিলতা গুলোর মধ্যে রয়েছে- হাত পা অবশ /প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া, শরীরের যেকোনো একপাশে দুর্বল বা অচল হয়ে যাওয়া, মুখ বেঁকে যাওয়া, কথা বলার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা, জয়েন্ট স্টিফনেস বা শক্ত হয়ে ধীরে ধীরে ভাঁজ হয়ে যাওয়া। এছাড়া দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যহত হওয়াসহ আরো কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে স্ট্রোক রোগীর ক্ষেত্রে।

স্ট্রোক পরবর্তী জটিলতা নিরসনে বা পুনর্বাসনে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার বিকল্প নেই। স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা খুবই কার্যকর।

স্ট্রোক থেকে বাঁচতে হলে ধুমপান, এলকোহল, তামাকজাত পণ্য ও চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করা, পরিমাণ মতো হাঁটাচলা করা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

লেখক : ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments