রাজধানীতে পোশাক কারখানা বন্ধ, চাকরি হারিয়েছেন অনেকে

পোশাক কারখানা

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর তুরাগ থানার একটি পোশাক কারখানায় কাজ না থাকায় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে চাকরি হারিয়েছেন ৪৬০ জন শ্রমিকসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী।

মঙ্গলবার (০৫ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তুরাগ থানার ধাউর এলাকায় অবস্থিত ‘তরী ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড’ নামে কারখানার ভেতরে শ্রমিক, মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি করা হয়। 

চুক্তি অনুযায়ী, কারখানাটি ৫ মে থেকে পুরোপুরিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হবে। কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ক্ষতিপূরণসহ সব পাওনাদিসহ (গ্রস) বেতন পরিশোধ করা হবে। শ্রম আইন মেনে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের বোনাস বাবদ একটি করে বেসিক দেওয়া হবে। শ্রমিকদের ছুটির টাকা দেওয়া হবে। আগামী ৭ মে কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা হবে।

শ্রমিকরা জানান, তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ করোনা মহামারির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে ১৫ মে লে-অফ ঘোষণা করে। এরমধ্যেই সোমবার (৪ মে) শ্রমিকদের ফোন করে কারখানায় ডেকে এনে কোনো পাওনাদি পরিশোধ না করে আইডি কার্ড ও অব্যাহতিপত্রতে স্বাক্ষর নেওয়া শুরু করে। পরে মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা একযোগে কারখানার সামনে এসে অবৈধভাবে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করার শর্তে একটি চুক্তি করে। পরে শ্রমিকরা কারখানা থেকে চলে যায়।

কারখানাটির শ্রমিক ফরাদ হোসেন শুভ বলেন, বন্ধ কারখানায় আমাদের ডেকে কয়েকজনকে অব্যাহতিপত্রতে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমরা জানতে পেরে সবাই আজ আন্দোলনে নামি। পরে কারখানার মালিক আমাদের দু’টি বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ মহামারির সময় যদি সে টাকাও না পাই তাই রাজি হয়ে আমরা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করি।

এ ব্যাপারে তরী ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেডের মালিক মোহাম্মদ আলী সায়েম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের পরিস্থিতি কি হবে না হবে আল্লাহ ভালো জানেন। এ অবস্থায় কারখানায় কাজ না থাকায় বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হচ্ছে। যদিও পরবর্তীতে খোলার চিন্তা রয়েছে সেটা ঈদের পরে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, এ মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় শ্রমিকরা চাকরি হারালেন। এতোগুলো শ্রমিক কর্মহীন হলেন। বিষয়টি খুব দুঃখজনক। আমি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাবো যেন আর কোনো পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা না হয়। শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা না হয়।

এমএইচ/বাংলাবার্তা