চবি প্রতিনিধি
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) ডিন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিন দলের মনোনীত ১৫ জন প্রার্থী। তবে আওয়ামী লীগ-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দলের ৭ জন মনোনীত প্রার্থী থাকলেও একই দলের রয়েছে ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে এ নির্বাচনে লড়বে সর্বমোট ২২ জন প্রার্থী।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রধান রিটার্নিং অফিসার কেএম নুর আহমদের নিকট ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৭জন প্রার্থী’র মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর ২২ জনের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান রিটার্নিং অফিসার কেএম নুর আহমদ।
চুড়ান্ত তালিকানুযায়ী আওয়ামী লীগ-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দলের ৭ জন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দলের ৩ জন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের ৫ জন এবং হলুদ দলের ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে হলুদ দল থেকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু নছর মুহাম্মদ আব্দুল মাবুদ।
বিজ্ঞান অনুষদে হলুদ দল থেকে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সাদা দল থেকে একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. শামছু উদ্দিন আহমদ, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন। এছাড়া হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ডিন বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে সাদা দল থেকে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শওকতুল মেহের, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এসএম নসরুল কদির মনোনয়ন পেয়েছেন। হলুদ দলের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এসএম সালামত উল্ল্যা ভূঁইয়া এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন।
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে হলুদ দল থেকে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সফিকুল ইসলাম ও হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত।
আইন অনুষদে হলুদ দল থেকে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা মনোনয়ন পেয়েছেন। হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান। তবে এ অনুষদে সাদা দল এবং জাতীয়তাবাদী ফোরামের কোন প্রার্থী নেই।
জীববিজ্ঞান অনুষদে হলুদ দল থেকে ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হোসাইন, সাদা দল থেকে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক ড. অলক পাল।
ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে হলুদ দল থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা। এ অনুষদে সাদা দল ও জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রার্থী নেই।
মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদে হলুদ দল থেকে ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ-উন-নবী এবং জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. এম. মারুফ হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন। এ অনুষদে সাদা দলের প্রার্থী নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকতা কেএম নুর আহমদ জানান, ডিন নির্বাচন আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১০ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অগ্রিম ভোট দেওয়া যাবে।