![বন্যা- ছবি সংগৃহিত বন্যা](https://banglabarta24.com.bd/wp-content/uploads/2020/07/বন্যা-ছবি-সংগৃহিত.jpg)
বার্তা ডেস্ক:
বাংলাদেশে ১৯৮৮ সালের পর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী আরেকটি বন্যার আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কারীর দফতর ওসিএইচএ মঙ্গলবার তাদের এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাড়তে থাকা বন্যার পানি সামনের মাসের (আগস্ট) আগে কমার সম্ভাবনা কম। ১৯৮৮ সালের বন্যা ৩৩ দিন দীর্ঘায়িত হয়।
সংস্থাটির তথ্য মতে, এই বন্যার কারণে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮টি জেলার ২৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি থেকে সরে যেতে হয়েছে ৫৬ হাজার মানুষকে। মারা গেছেন ৫৪ জন। সাইক্লোন আমফান এবং কভিডের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, মহামারির মতো একটি দুর্যোগের ধাক্কা সামলে ওঠার আগে চলমান বন্যা সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের হিসাবে, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে ৪৯টি পয়েন্টে পানি বাড়ছে। আর বিপদসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে ১৬টি পয়েন্টে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সর্বোচ্চ বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে চলতি মাসের শুরুতে।
দেশে সাধারণত বছরে এক থেকে তিনটি বন্যা হয়ে থাকে। জুনের শেষে বা জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে যে বন্যা হয়, তা প্রায়ই এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন স্থায়ী হয়। এবার চট্টগ্রাম, পদ্মার দুই পাড়ের চার জেলা, উত্তরাঞ্চলের আত্রাই অববাহিকায় বন্যার পানি চলে এসেছে। যার কারণে সহজে কমার লক্ষণ নেই।
এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা