রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতিকে গ্রেফতারের ঘটনায় কুবিসাস’র নিন্দা

91
কুবি প্রতিনিধিঃ
 
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৭ ধারার মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগান্তরের প্রতিনিধি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক রাইহান বাপ্পীকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি-কুবিসাস’। রবিবার (১৫ নভেম্বর) সমিতির দপ্তর সম্পাদক খালেদ মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তানভীর সাবিক ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত বিপ্লব।
 
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই ক্যাম্পাস সাংবাদিক এবং পত্রিকার সম্পাদকদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত অভিযুক্তের কর্মকান্ড আড়াল, ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের হয়রানি করাই এ মামলার উদ্দেশ্য। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার অর্ধশত বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাংবাদিককে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কারাবরণ করতে হলো। যার মাধ্যমে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। মামলায় মানিক রাইহান বাপ্পী ছাড়াও যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, যুগান্তরের তৎকালীন রাবি প্রতিনিধি ও রাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান আদিব, রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
 
সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, আমরা আশংকা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পরিসরে সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকতার পথ আরও সংকুচিত হয়ে যাবে। কাজের পরিবেশ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। তাই দ্রুত এই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে গ্রেফতার মানিক রাইহান বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। সেই সাথে মামলায় অভিযুক্ত সকল সাংবাদিককে মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যহতির দাবি জানাচ্ছি।
 
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের অক্টোবরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে সিট বরাদ্দ দিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে ওই হলের আবাসিক শিক্ষক ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ‘রাবির আবাসিক হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিট বরাদ্দে চাঁদা দাবির অভিযোগ’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে বর্তমান ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক মানিক রাইহান বাপ্পীকে। পরে ১৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসএইচ/এফএম/বাংলাবার্তা