নোয়াখালীতে জাল কবলা করে জমি দখলের পায়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূয়া জমা খারিজ করে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ বাড়িতে অবস্থিত মা-বাবার দোয়া এগ্রো ফার্ম জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হেদায়েত উল্লাহ ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ওই হাফেজ বাড়ির ১৫ একর ৯০ শতাংশ জমির মালিক নিজাম উদ্দিন ও হেদায়েত উল্ল্যাহ।২০২১ সালের ১০ জুলাই ১১ একর সাড়ে ৬৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালের ৭ জুন ২ একর সাড়ে ৬৯ শতাংশ, ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ১ একর সাড়ে ৭১ শতাংশ জমি কবিরহাট রেজিস্ট্রি অফিসে সাব-কবলার মাধ্যমে উভয়ে মালিক হন।

এর মধ্যে ৮ একর ৫০ শতাংশ জায়গা দখলে মো. নিজাম উদ্দিন ও হেদায়েত উল্ল্যাহকে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া বাকি জায়গা দখল এবং রেকর্ড না থাকার কারণে ক্রেতা মো. নিজাম উদ্দিন ও হেদায়েত উল্ল্যাহকে দখল বুঝিয়ে দিতে পারেনি বিক্রেতা শাহ আলম।

যার কারণে বর্তমান মালিক নিজাম উদ্দিন ও হেদায়েত উল্লাহ উক্ত রেকর্ড বাতিল চেয়ে এলএসটি মামলা করেন। যার মামলা নং- ৭৮০। এদিকে জমির দুই মালিকের একজন মো. হেদায়েত উল্ল্যাহ গত ২০ সেপ্টেম্বর দখলকৃত জায়গার ৭ একর ৫০ শতাংশ জমি খারিজ করে দিয়েছে। যার খতিয়ান নং- ১৪৩১।

জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর খারিজের জন্য আবেদন করে ২৫ সেপ্টেম্বর হেদায়েত উল্ল্যাহ তার ছেলে হিজবুল্লাহিল গালিবকে এক দিনের মধ্যে খারিজ করে দেয়। দলিল নং (৪৪৮৫)। অথচ করিহাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাব-কবলা হিসেবে যার কোনো দলিল নেই।

এদিকে ভূয়া জমা খারিজ করে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর স্থাপিত মা-বাবার দোয়া এগ্রো ফার্মটি জবর দখলের চেষ্টা করে হেদায়েত উল্লাহ। অথচ এর প্রকৃত মালিক মো. নিজাম উদ্দিন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের কারণে মো. হেদায়েত উল্লাহ ও তার ছেলে হিবুল্লাহিল গালিব ফার্মটি এখনো জবর দখল করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজাম উদ্দিনের জায়গা এখন পর্যন্ত তার দখলেই আছে। তবে হেদায়েত উল্লাহ ও তার ছেলে জায়গাটি দখলের চেষ্টা করছে।