বাংলাবার্তা প্রতিবেদন
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-ছবির একেবারে শেষের মূহুর্ত। পর্দায় ভেসে ওঠল ১৫ আগস্টের সেই মন খারাপের দৃশ্য। কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ঢুকে পড়েন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে। এরপর মুহুমুহু গুলি। সেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে লুটিয়ে পড়েন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়া মহান মানুষটি সপরিবারে মারা যাওয়ার সেই দৃশ্যায়ন দেখতে দেখতে আর আবেগ সামলে রাখতে পারলেন সিনেমা হলে পর্দার সামনে বসা শিক্ষার্থীরা। সেই দৃশ্য দেখতে দেখতে অনেকেই কেঁদে দেন।
বুধবার (১৮) অক্টোবর বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন আদর্শ জানতে তাঁর জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত মুজিব: একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেখিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতেই নিজেদের উদ্যোগে টিকিট কেটে এই সিনেমা দেখিয়েছেন তারা।
দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের কাজীর দেউড়ির সুগন্ধা সিনেমা হলে এ সিনেমাটি দেখেন নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।
আয়োজক নগর ছাত্রলীগের নেতা রবিউল হোসেন রবিন বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির জীবন ও কর্মের চিত্রায়নে তরুণ চলচ্চিত্র তারকাদের অভিনীত ছবিটি নতুন প্রজন্মকে ঐতিহাসিক আখ্যানের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত করবে। চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম এবং তরুণ-তরুণীরা চলচ্চিত্রটি দেখার সময় ও ইতিহাসকে কল্পনা করার সুযোগ পাবে। আমি বিশ্বাস করি এই সিনেমাটি সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেখলে বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হবে। এ ধারণা থেকেই আজ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই সিনেমা দেখেছি।’
উদ্যোক্তাদের আরেকজন নগর ছাত্রলীগের সদস্য ইফতেখার হোসাইন শায়ান বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আমরা নগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে টিকিট কেটে আমাদের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে টিকিট কেটে মুজিব: একটি জাতির রূপকার সিনেমাটি দেখালাম। এতে শিক্ষার্থীরা আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পেরেছে।
চলচ্চিত্রটি দেখতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বই পড়ে ও টেলিভিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জেনেছি। তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার ইতিহাস পড়েছি। নগর ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্যোগে তাঁকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি দেখলাম। এর মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুকে নতুনভাবে জেনেছি। আমাদের ভীষণ ভালো লেগেছে। আবার ১৫ আগস্টের দৃশ্যায়ন দেখে কেঁদেছিও।
এসময় ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, মিথাস বড়ুয়া চয়ন, সৈয়দ শাহারিয়ার সাদিক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজু, চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াজ উদ্দিন হৃদয়, নগর ছাত্রলীগ নেতা শামীম ওসমান, এন আই টি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খালিদ হোসাইন অন্তর, নগর ছাত্রলীগ নেতা মোনতাসির চৌধুরী মাহিয়ান প্রমুখ।