মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নোবিপ্রবিতে “কিশলয়” স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন

নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও শহীদদের স্মরণে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (নোবিপ্রবিসাস) কর্তৃক “কিশলয়” স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি’র তৃতীয় কার্যনির্বাহী ২০২০-২১ এটি প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত তুলে ধরে ২৮ টি প্রবন্ধ তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলা ১ টায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) হাজী ইদ্রিস অডিটোরিয়াম ভবনের ৪র্থ তলায় আইকিউএসি সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, এবং নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নোবিপ্রবিসাসের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।

এছাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন পাঠান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাবিহা তাসমিম সঞ্চালনায় ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আনোয়ারুল বাশার, ফিসারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন, এক্সিম ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃসায়েদুসজ্জামান সুজন, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন তথ্য ও সংবাদ পরিবেশন করেন। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার জন্য নিরপেক্ষ ভূমিকায় থেকে সাংবাদিকতা করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য সাংবাদিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নোবিপ্রবিসাসের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই স্মরণিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সাংবাদিক সমিতি মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরো পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী নোবিপ্রবিসাসের স্মরণিক প্রকাশে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির এই স্মরণিকা প্রকাশ আমাদেরকে অনেক কিছু জানতে সহযোগিতা করবে। ভবিষ্যতেও এমন কাজে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো.দিদার উল আলম বলেন, নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লেখা নিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে ” কিশলয় ” স্মরণিকা। আমি মনে করি, অতীতের তুলনায় ভবিষ্যতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আমি নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির কামনা করি৷

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শেষে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ২০২০-২০২১ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়। এছাড়া নোবিপ্রবিসাসের উদ্যােগে আয়োজিত ফটো কন্টেস্টে বিজয়ী সেরা দশ জনকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা