পড়াশোনার খরচ চালাতে যেসব ব্যাংক থেকে নেয়া যাবে শিক্ষাঋণ

মর্ধণ্য দীপু: শিক্ষা লোন, যাকে শিক্ষাঋণও বলা হয়ে থাকে। এই লোন সাধারণত অভিভাবকদের কিংবা সরাসরি ছাত্র ছাত্রীদেরও দেয়া হয়। এক্ষেত্রে অভিভাবক অথবা ছাত্র ছাত্রীদের ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কিছু শর্ত দিয়ে থাকে। সেই শর্ত সমূহ মেনে তবেই ঋণ নেয়া যায়।

যেসব ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে শিক্ষাঋণ
১. এইচএসবিসি ব্যাংক
২. ব্র্যাক ব্যাংক
৩. প্রাইম ব্যাংক
৪. ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৫. উত্তরা ব্যাংক
৬. গ্রামীণ ব্যাংক

যোগ্যতা:
লোন গ্রহণকারী লোন পরিশোধে সক্ষম হিসেবে প্রমাণিত হলেই লোন বা ঋণ নিতে পারবেন।

সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদের মাসিক আয় ১২-১৮ হাজারের মধ্যে তারা খুব সহজেই ঋণ সুবিধা নিতে পারেন।

যেসকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং মাসিক ৫০ হাজার টাকা আয় হয় তারাও এই ঋণ পেয়ে থাকেন এজন্য অবশ্যই আয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।

এছাড়াও যাদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী শর্তের বিনিময়ে লোন সুবিধা নিতে পারবেন।

কাগজপত্র:
প্রয়োজনীয় তথ্য অথবা ডকুমেন্ট যেমন: আয়ের উৎস ও প্রমাণপত্র, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ফর্ম অথবা ডকুমেন্ট এবং যে ছাত্র-ছাত্রীর জন্য লোন নেয়া হবে তাদের সম্মতিপত্র জমা দিতে হবে।

তারপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার জমা করা তথ্য ও ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে খুব স্বল্প সময়ে আপনার সন্তানের জন্য শিক্ষা লোন বা ঋণ দিয়ে দিবে।

১. এইচএসবিসি:

এই ব্যাংক সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় লোনকৃত ব্যাক্তির মাসিক আয়ের চার গুণ বেশি পরিমাণ ঋণ প্রদান করে থাকে।

ব্যাংকটির ঋণের সুদের হার ১৮% পর্যন্ত হতে পারে। এই ঋণ পরিশোধের সময়কাল বারো, চব্বিশ, ছত্রিশ, আটচল্লিশ মাস। স্টুডেন্ট ফাইল খোলার পর যদি কোনো আউটপুট অথবা সিইপিএস গ্রাহক শিক্ষা লোন নিতে চায় তাহলে তাকে ছয় থেকে দশ গুণ হিসেবেও ঋণ দেয়া হয় তবে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি পরিমাণ ঋণ প্রদান করা হয় না।

২. ব্র্যাক ব্যাংক:

বিদেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে লোন দিয়ে থাকে ব্র্যাক ব্যাংক। যেখান থেকে জামানত ছাড়াই ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নেয়া যায়। সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা ঋণ নেয়ার সুযোগ আছে এই ব্যাংকে।

৩. প্রাইম ব্যাংক:

ব্যাংকটি মূলত ছাত্র বা ছাত্রীর অভিভাবককে তার আয় অনুযায়ী লোন দেয় এবং কী পরিমাণ ঋণ দিবে সেটা অভিভাবক এর আয় এর উপর নির্ভর করে। এই স্কিম থেকে আগ্রহীরা সাধারণত ১-৩ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন। এটির পরিশোধ কাল সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত হয় এবং শতকরা ১৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হয়৷

৪. ইসলামী ব্যাংক:

ব্যাংকটি মূলত বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য এইচ ডি এস নামের একটি স্কিমের আওতায় শিক্ষা সামগ্রী এর মূল্যের এক চতুর্থাংশ ডাউন পে এর মাধ্যমে লোন দিয়ে থাকে এবং প্রতি বছর ১২.৫০ শতাংশ এবং সুপারভিশন চার্জ হিসেবে ২ শতাংশ হারে পরিশোধ করতে হয়। তাছাড়া মাসিক কিস্তিতে সর্বোচ্চ দুই বছরের মধ্যে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হয়।

এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা