তানবীরুল ইসলাম: নেতা হবে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। মানুষ যাকে দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার পরিবর্তে সাহস ও মনোবল খুঁজে পাবেন, তিনিই হবেন নেতা। কঠিন সময়ে তিনি হবেন আশার আলো।
তরুণদের আদর্শ জীবন গঠনে যার দিকনির্দেশনা হবে কর্মপ্রেরণার উৎস। সমস্যা সমাধানে প্রজ্ঞা ও প্রচেষ্টা হবে তার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
ক্ষমতার লালসা মানুষের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে। আর ব্যক্তিত্বহীন মানুষ প্রকৃত সেবক হতে পারে না। তাই ক্ষমতার প্রতাপ দেখানোর পরিবর্তে একজন নেতা হবেন দুঃসময়ে জনগণের সেবক।
সন্ত্রাসী মনোভাব, অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো, মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, অন্যের অধিকার হরণ, আদর্শ নেতৃত্বের পরিচায়ক হতে পারে না। বরং এগুলো নেতৃত্ব ও নিজের ধ্বংসের কারণ হয়। প্রতিশোধপরায়ন মানুষ নেতৃত্ব পেলে বিদ্রোহ সৃষ্টি হয়। দেশ জাতির উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আদর্শ নেতা ও নেতৃত্ব সৃষ্টিতে প্রয়োজন সহনশীল মনোভাব এবং দূরদৃষ্টি। ভাঙ্গন নয়, গড়ার কাজই করেন একজন আদর্শ নেতা। ভালোবাসতে পারলে শত্রুও একদিন বন্ধুতে পরিণত হয়।
নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা একজন মানুষকে সাধারণ থেকে অসাধারণ নেতৃত্বের উপযোগী করে তুলতে পারে।
সাথে দক্ষতা, সচেতনতা, ইতিবাচক মনোভাব, নেতৃত্বের গুণাবলি আরও বাড়িয়ে দেয়। একজন নেতার উন্নতির পেছনে তার আত্মসমালোচনা ও আত্ম সংশোধনী অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি, নমনীয়তা একজন আদর্শ নেতার প্রতিচ্ছবি। সর্বোপরি সৎ, দক্ষ এবং আদর্শ নেতৃত্বের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠন সম্ভব।
শিক্ষার্থী: লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
এমএইচ/বাংলাবার্তা