রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী


রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন মারা গেছে। রোববার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে (আইডি) আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।


মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুস সোবহান (৮০)। তার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গাওপাড়া গ্রামে। ডা. সাইফুল বলেন, গত ২০ এপ্রিল ৮০ বছরের এই বৃদ্ধের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার উৎস পাওয়া যায়নি।


তিনি বলেন, আব্দুস সোবহান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে চার দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২০ এপ্রিল সকালে তাকে আইডি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাতে তার করোনা পজিটিভ বলে রিপোর্ট আসে। ওই রোগী রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে সেখানকার চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে ২১ এপ্রিল হাসপাতালের ২১ চিকিৎসক ও ১২ নার্সসহ ৪২ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তবে গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এতে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়াও বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় একটি ক্লিনিকেও চিকিৎসা নেন আব্দুস সোবহান। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তাদেরও পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।


বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই বৃদ্ধ ফেরি করে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করতো। এ বয়সেও তিনি এ কাজ করতে। সম্প্রতি তিনি আশাপাশের গ্রামে গিয়ে তার তৈরী সামগ্রী বিক্রি করেছেন। এর পর তিনি অসুস্থ্ হয়ে পড়েন।


ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রথমে তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। এর পর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখান থেকে গত ১৭ এপ্রিল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল এক্স-রে করার পর করোনার লক্ষণ ধরা পড়ে। এ পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় বলে জানান তিনি। রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আটজন করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষ। আক্রান্তদের মধ্যে পুঠিয়া উপজেলায় পাঁচজন, বাগমারায় একজন, মোহনপুর একজন ও বাঘা উপজেলায় একজন। এদের মধ্যে সাতজনই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে এসেছেন। তারা নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা