যেসব পাঠ্যপুস্তক পড়ে ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে তা কর্মজীবনে কাজে আসছেনা-ডা.দিপু মনি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যেসব পাঠ্যপুস্তক পড়ে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে তা আসলে কর্ম ও ব্যক্তিজীবনে কাজে আসছে না। আমরা তাদের শুধু শিক্ষিত বেকার করে গড়ে তুলছি।’ শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে এভাবেই মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। এ থেকে উত্তরণে আমূল পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২০ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আর একাডেমিক বিষয়ে অনেক অমিল রয়েছে। যেসব পাঠ্যপুস্তক পড়ে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে তা আসলে ব্যক্তি ও কর্মজীবনে কাজে আসছে না। আমরা তাদের শুধু শিক্ষিত বেকার করে গড়ে তুলছি। এ কারণে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমাদের একাডেমি তৈরি করা হচ্ছে।

‘কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমাদের শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক বিদ্যা শেখালেও তাদের মূল্যবোধ, মানবতাবোধ, সততা শেখাতে পারছে না। এ কারণে অনেকে শিক্ষিত হলেও তা সঠিক কাজে আসছে না বলে এখনও দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হয়নি। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ ও মানবতাবোধ তৈরির লক্ষ্যে তার আলোকে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার বাড়তি চাপ ও বাড়তি পাঠ্যবইয়ের চাপ কমানোর কাজ শুরু হয়েছে’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের কাজ শুরু করা হয়েছে। পরীক্ষা ও বিষয়ের বাড়তি চাপ কমানো হচ্ছে। পাঠদান পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হবে।

দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। তারা দেশের রেমিট্যান্স বাড়াচ্ছেন। তবে তাদের অনেকে অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ বলে সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না। তাদের অভিজ্ঞ করে বিদেশে পাঠাতে পারলে দেশে আরও বেশি রেমিট্যান্স বাড়ত এবং তাদের জীবনমান বেড়ে যেত। তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ।