Thursday, July 10, 2025
Homeশিক্ষাক্যাম্পাসপরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ কখনোই করবো না- মোঃ হানিফ

পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ কখনোই করবো না- মোঃ হানিফ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ছোট বেলা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে হাটতেছি। যেখানেই গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষ কষ্টে পড়েছে সেখানেই ছুটে গিয়েছি। কিন্তু এসব কাজ করতে গিয়ে জামাত-শিবিরের রুশানলের শিকার হতে হয়েছে কয়েকশ বার। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন ধরে কিছু চরিত্রহীন মানুষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজীর যুবলীগ নেতা মোঃ হানিফ।

তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাশ্ববর্তী ফতেহপুর ও জোবরা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকে আমাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমে পাহাড়ে কৃষিকাজ ও বিভিন্ন ফলাদি বাগান, গাছ, সবজি ইত্যাদি চাষাবাদ করা। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা পাহাড়ি কৃষি পণ্য ও নিজেদের লাগানো গাছের কাঠ বিক্রি করে আসছি। যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবগত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা পাহাড়ে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম কানুন মেনে আমরা পাহাড়ে নিজেদের বাগান থেকে কাঠ সংগ্রহ করি।

হানিফ আরো বলেন, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা দিয়ে এসব মালামাল পরিবহণে গেট পাশ বাবদ কোন টাকা দিতে না হলেও গত বছর থেকে সে নিয়ম চালু হয়েছে। বর্তমানে আমরা গেট পাশের টাকা দিয়ে নিজেদের কৃষিপণ্য পরিবহণ করছি।

তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয় মাথায় রেখে আমরা সবসময় গাছ কাটার পর পুনরায় গাছ রোপন করি। যা আমাদের দীর্ঘ দিনের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অাগে থেকেই আমরা এভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার নিয়ম নীতি অনুসরণ করে নিজেদের করা বাগান থেকে গাছ সংগ্রহ করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আমাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছে।

এ নেতা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন সময় সীমিনা পরিমাপ করেও বলেছে গ্রামবাসীর গাছ, বাগান বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত নয়। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সাংবাদিক আমাদের থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। কিন্তু নিজেদের বাগান থেকে বৈধভাবে গাছ সংগ্রহ করায় আমরা চাঁদা দিতে রাজি হয়নি। ফলে আমাদেরকে নানান উপায়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘চার বছরে সাত হাজার গাছ সাবাড়’ শিরোনামে ২২/০২/২০২০ তারিখে একটি দৈনিকে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এক পক্ষ টাকার বিনিময়ে এ নিউজটি করেছে বলে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। আমরা এই মিথ্যে সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অসাধু কর্মকর্তাদের সনাক্ত করে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাবার্তা/আরএইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments