কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের অধিভুক্ত ‘পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েশন’র আয়োজনে লোক প্রশাসন-২০১৯ উৎসব শেষ হয়েছে। এতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং প্রবীণ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে কেক কেটে ও আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে এ উৎসব শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী দের নবীন বরণ ও ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিভাগটির দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর সাবিকের সঞ্চালনায় এবং ‘পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মো: রশিদুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী । বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দুই ধরনের শিক্ষার্থী পাওয়া যায়৷ একপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকে আনন্দের জায়গা মনে করে। কিন্তু দিনশেষে তার মনে জন্ম নেওয়া অপরাধবোধের কারণে সত্যিকার আনন্দ উপভোগ করতে পারে না। আনন্দ খুঁজতে গিয়ে তারা চার বছর পর জীবনের হিসাব মেলাতে পারে না। অপর পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকে বিনিয়োগের জায়গা মনে করে। তারা মানসিক সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে এবং জীবনভর সেই বিনিয়োগের ফসল উপভোগ করতে থাকে।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান সৃষ্টি জ্ঞান চর্চা জ্ঞান বিতরণের জায়গা। শিক্ষা হচ্ছে মস্তিষ্ক এবং হৃদয়ের সমন্বয়। মস্তিষ্ক দিয়ে আমরা দক্ষ হওয়ার বিষয়গুলো অর্জন করতে পারি৷ কিন্তু কোথায় কি চর্চা করতে হবে তা আমরা হৃদয়ের মাধ্যমে অনুভব করতে পারি।
মো: রশিদুল ইসলাম শেখ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি পারবো’ এই আত্নবিশ্বাস ধারণ করতে হবে। নতুন আত্নপ্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং অর্জিত জ্ঞান সঠিক জায়গায় প্রয়োগ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: মশিউর রহমান , রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক মো: রুহুল আমীন, কৃষ্ণ কুমার সাহা, মো: জিয়া উদ্দিন, আশিকুর রহমান, মো: নাহিদুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস , প্রভাষক মোহাম্মদ মাহিন উদ্দিন , মিশকাত জাহান, ফয়জুল ইসলাম ফিরোজ এবং বিভাগটির বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয় এবং সন্ধ্যায় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় লোক প্রশাসন উৎসব।