চবিতে প্রক্টর অফিসেই ছাত্রলীগের মারামারি, ১ জন বহিষ্কার

চবি প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রক্টর অফিসে প্রক্টরের সামনে প্রতিপক্ষের এক কর্মীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের আরেক কর্মী।  এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি শাটল ট্রেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেয় বিবাদমান  দুই গ্রুপ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে প্রক্টরের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ শুভ। তিনি ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনারের অনুসারী রেড সিগনাল গ্রুপের কর্মী।

অন্যদিকে মারধরকারী ইফরাতুল আলম পিটু ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী।

জানা যায়, বিকেলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তার অনুসারীদদের নিয়ে প্রক্টরের সাথে দেখা করতে যায়। আগে থেকে প্রক্টর অফিসে অন্য একটা বিবাদ মিটানোর জন্য আরএস গ্রুপের কয়েকজন কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিল। এসময়  ইফরাতুল আলম পিটুর সাথে বেয়াদবি করে মোহাম্মদ শুভ। এতে শুভকে কিল ঘুসি মারে পিটু। এ ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যাওয়া সাড়ে ৫ টার ট্রেন ফতেহাবাদ স্টেশনে পৌঁছলে শাটল ট্রেন আটকে দেয় আরএসের কর্মীরা। সেখানে তারা পিটুকে খুঁজতে থাকে। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেয়। পরে আধা ঘন্টা পর সোয়া ৬ টার দিকে ট্রেন ছেড়ে দিলে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক খুলে দেয়।

এ বিষয়ে রেড সিগনাল গ্রুপের নেতা রকিবুল হাসান দিনার বলেন, জুনিয়রদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী ইফরাতুল আলম পিটুকে ১ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।

তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডের জন্য ইফরাতুল আলম পিটুকে ১ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কেউ রেহাই পাবে না। যে বা যারা জড়িত আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। তবে এই ঘটনার সাথে পূর্বের ঘটনার কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।

ঘটনার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে ঝামেলা হয়েছিলো। এখন সব স্বাভাবিক।