সায়েদুল মোস্তফা
পুরো পৃথিবী আজ এক জীবাণুর মুখোমুখি, কিন্তু উম্মাহর কাছে জীবাণু ছড়িয়েছিলো অনেক আগেই, সিরিয়াতে। যখন রাশান বিমানগুলো সিরিয়ার জনপদে একের পর এক জীবাণু-বোমা নিক্ষেপ করেছিল। মনে আছে সেই সিরিয়ান শিশুকন্যার কথা? যে মৃত্যুশয্যায় অভিমান করে বলেছিল- “আমি আল্লাহর কাছে গিয়ে সব বলে দেবো, নালিশ করবো তোমাদের নামে!“ আজ মুসলিম উম্মাহ সহ গোটা পৃথিবী সেই শিশুর দায়ের করা মামলার সামনে দাঁড়িয়ে। আমরা কতদিন পারবো এই মামলা লড়ে যেতে? একজন মজলুম শিশুর মামলা, প্রতাপশালী আল্লাহর দরবারে।
.
কোয়ারেন্টাইন থেকে পালাচ্ছে হতবিহবল মানুষগুলো। ফিলিস্তিনের সেই কোয়ারেন্টাইনের কথা মনে পড়ে কী? যেখানে উম্মাহর ভাইয়েরা অতিষ্ঠ জীবন অতিবাহিত করে যাচ্ছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। অত্যাচারীরা গযব থেকে বাঁচতে আজ নিজেই নিজের বানানো কোয়ারেন্টাইনে বন্দি। মাজলুমের বসতিতেও তারা আজ অবাঞ্ছিত।
.
আরাকানেও মাসজিদ ছিলো, ছিলো মাদ্রাসা। কিন্তু সেখানে জামাত হতে পারতো না, দ্বীনের দারস হতে পারতোনা। বর্মী সৈন্যদের বাঁধার মুখে রোহিঙ্গা মুসলিমরা অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকতো শুন্য মাসজিদের দিকে। আহাজারি করতো শূয়রের খোঁয়াড়ে পরিণত হওয়া মাদ্রাসাগুলোর দিকে তাকিয়ে। আজ মুসলিম বিশ্বের মাসজিদগুলো শুন্য। আযান নেই। উমরা নেই। আরাকানের স্বাদ আস্বাদন করে কেমন বোধ করছো হে উম্মাহ!
.
লক ডাউন করা কাশ্মীর এখন উন্মুক্ত। বরং হিন্দু সন্ত্রাসীদের রাজভবন আজ লকড ডাউন। নিজ পরিবারের কাছেই তারা এখন অচ্ছুৎ। চেতনার ‘জয় শ্রীরাম’ চুপসে গেছে বাস্তবতার ‘করোনা’র কাছে। প্রোপাগান্ডার বায়বীয় ‘গোমূত্র’ থেরাপী স্বয়ং হিন্দুরাই এখন চেখে দেখতে নারাজ। ‘করোনা’ যখন ফণা তুলছিলো তখনো তুমরা দিল্লীতে মেতে ছিলে রক্তের নেশায়। এখন কোথায় সেই দুঃসাহস!?
.
যে দাঙ্গা পুলিশ লাগিয়ে ইউরোপ শরণার্থীদের তাড়াচ্ছিলো কয়েক সপ্তাহ আগে, তারাই এখন তাড়াচ্ছে ইউরোপিয়ানদের। নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখতে। মুসলিম নিধনে অবদান রাখা তাদের ডোনেশন গুলো ফিরে এসেছে ‘করোনা’র ছদ্মবেশে। আপনজনের লাশ কতো ভারী হে ইউরোপ?!
.
অর্থনীতির চীন! কোনটা বেশি দামী? উইঘুর মুসলিমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাকি করোনার প্রতিষেধক? আজ প্রতিটা এলাকা উইঘুরে পরিণত হয়েছে। মুসলিমের রক্তে রঞ্জিত হাতগুলো কতবার ধুলে করোনামুক্ত হবে? পৃথিবীর প্রতিটা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি আজ তোমাকে অভিসম্পাত করে হেই চীন। পৃথিবীবাসী কামনা করে- হায়! চীন বলে যদি কিছুই না থাকতো এই দুনিয়ায়!!
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা