নিউজ ডেস্ক:
করোনার কারণে হজ বন্ধ থাকায় এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিপুল পরিমাণ আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।প্রতি বছর হজযাত্রী পরিবহন করে কয়েকশ কোটি টাকা আয় করে রাষ্ট্রয়াত্ত এই উড়োজাহাজ সংস্থা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহর থেকে করোনা ভাইরাস উৎপত্তি হওয়ার পর থেকে প্রথমেই প্রভাব পড়ে বিশ্বের অ্যাভিয়েশন শিল্পে। বাংলাদেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রভাব পড়তে শুরু করলেও মার্চ মাসে এসে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর ফ্লাইট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত চার্টার্ড ফ্লাইট ছাড়া বিমানের কোনো আয় নেই।
এছাড়াও বিমানের আয়ের বড় একটি অংশ আসে প্রতি বছর হজযাত্রী পরিবহন করে। কিন্তু এবার করোনার কারণে সৌদি আরবের বাইরের মুসলমানদের হজে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপুল লোকসানে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশ বিমানের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিমানের হজ ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে যান ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন। বাকি অর্ধেক হজযাত্রী যান সৌদি এয়ারলাইন্সে। দুই মাসব্যাপী হজ ফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর হজ ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমানের ৩শ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সৌদি আরব এবার বাইরের দেশের হজযাত্রীদের সে দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশসহ বাইরের দেশের মুসল্লিরা এবার সৌদি আরবে গিয়ে হজ পালন করতে পারবেন না। এ কারণে বিমানের হজ ফ্লাইট থেকে বড় আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, করোনায় এমনিতেই সংকটে বিমান। এর মধ্যে হজ বন্ধ থাকায় আরো বেশি লোকসান হবে। তবে বিমান এখন অন্যভাবে আয়ের পথ খুঁজছে।
এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা