নিজস্ব ডেস্কঃ
চারপাশে সবুজের সমারোহ। মাঝখানে বেগুনি রঙের পাতার ধানক্ষেত। প্রথম দর্শনে অবাক হবেন যে কেউ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রথমবারের মতো বেগুনি পাতার ধান চাষ করেছেন মো. সালেহ আহমদ নামে এক কৃষক। এতে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
সালেহ আহমদ ওই উপজেলার আশিদ্রোণ ইউপুর তিতপুরের বাসিন্দা। তিনি জানান, ফলন ভালো হলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ ধান চাষ করবেন।
সালেহ আহমেদ জানান, মৌলভীবাজারে তার মামাতো ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তিনি বেগুনি ধান দেখতে পান। এতে মুগ্ধ হয়ে এ জাতের ধান চাষে আগ্রহী হন তিনি। পরে মামাতো ভাইয়ের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় নিজ এলাকায় এই ধান চাষ করেছেন।
সালেহ আহমেদ এ ধানের নাম দিয়েছেন সুবর্ণা ইরি ধান। তিনি আরো জানান, জমিতে বীজ রোপণের পর খুব বেশি পরিচর্যা করতে হয়নি। সারও লেগেছে কম। আশপাশের অনেক মানুষ আসছে তার ধানক্ষেত দেখতে। অন্য ধানের চেয়ে ফলন বেশি পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন চাষ শুরু হওয়া এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। দেশে সর্বপ্রথম এ জাতের ধানের আবাদ শুরু হয়েছিল গাইবান্ধায়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধান। ধানের রঙ সোনালি ও চালের রঙ বেগুনি। উফশী জাতের এ ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কময়। রোপণ থেকে ধান পাকতে সময় লাগে ১৪৫-১৫৫ দিন। অন্য জাতের ধানের চেয়ে এ ধানের গোছা প্রতি কুশির পরিমাণ বেশি থাকায় ফলনও বেশ ভালো। একরপ্রতি ৫৫-৬০ মণ ধান ফলে। অন্য সব ধানের তুলনায় এ ধান মোটা, ভাতও সুস্বাদু।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, বেগুনি রঙের এ ধান বিদেশি নয়। এটি আমাদের দেশি জাতের ধান। আগে অন্য জেলায় চাষ হয়েছে, এবার প্রথমবারের মতো শ্রীমঙ্গলে চাষ হচ্ছে। একজন চাষি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলে উৎপাদিত ধানগুলো বীজ আকারে রাখা হবে।
এমডি/এফএম/বাংলাবার্তা