যে কারণে বন্ধ হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

শিক্ষা মন্ত্রনালয়
ফাইল ফটো

নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস স্বস্তির পর আবারও নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন। যার প্রভাবে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এছাড়া দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে আবারও দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে, নাকি খোলা থাকবে তা নিয়ে সরব সরকার। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও পরামর্শক কমিটি এ নিয়ে কথা-বার্তা বলেছে। তাদের একটিই বক্তব্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে যদি সংক্রমণ বাড়ে বা দেশে সংক্রমণ যদি আবারও আশংকাজনকহারে বৃদ্ধি পায় তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যতক্ষণ সম্ভব ততক্ষণ সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, যদি মনে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে সংক্রমণ বাড়বে, তখন আমরা বন্ধ করে দেব হয়তো। এছাড়া যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতেই হয়, তখন আমরা ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দেব। কোনো গুজবে কান দিবেন না। কিন্তু যতক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে আমরা বন্ধ করব না। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাক।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হুট করে নয়, বরং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আমাদের মিটিং আছে। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে। সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে এসে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যায়, সে চেষ্টাই করছি আমরা।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির
বৈঠক শেষে পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, বর্তমানে যেভাবে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় চলছে সেভাবেই চলবে।

তিনি বলেন, যেহেতু এখন সংক্রমণের হার ৬ শতাংশের বেশি, তাই বিশেষ বিবেচনায় রেখে এই ব্যবস্থাগুলো নিয়ে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। তবে যদি কোনও কারণে সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করার বিষয়ে চিন্তা করা হবে।

ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমরা বন্ধ করে দেই এবারও, তাহলে ইম্পেক্ট (প্রভাব) আবার অনেক বেশি। আবার খোলা রেখে যদি সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলেও সমস্যা।’

প্রসঙ্গত, মহামারি করোনা শুরুর পর প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশে একযোগে খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া ১৫ অক্টোবরের পর ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এমএ/এমএইচ/বাংলাবার্তা