নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বরাদ্ধ হওয়ার পর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার করা হয়নি ঝুকিপূর্ণ একটি কাঠের পুল।
স্থাণীয়দের অভিযোগ উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হালদার পুলটি সংস্কার না করেই টাকা আত্নসাৎ করেছে।
তবে অভিযুক্ত জানান, সে করোনার কারনে শ্রমিক সংকট থাকায় সংস্কার কাজ করতে পারেনি টাকা তার নিজ এ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নে হাসাইল গ্রামের আজিজ সরদারের বাড়ি হতে পশ্চিমে আব্দুর রব শেখের বাড়ি পর্যন্ত নির্মিত কাঠের পুলটি দীর্ঘ ৮ বছরেও সংস্কার হয়নি। এতে নড়েবড়ে হয়ে গেছে কাঠের তৈরী পুলটি। ওই ঝুকিপূর্ণ কাঠের পুল দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের যাতায়াত।
শিশু বৃদ্ধারা অনেক সময় পুল থেকে পরে আহতও হচ্ছেন। পুলটি মেরামতের জন্য বিগত প্রায় ৫ মাস আগে টঙ্গিবাড়ী ত্রান ও পূর্ণবাসন কার্যালয় হতে ৭০ হাজার টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয় ।
তবে দির্ঘ ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পুলটি মেরামত করা হয়নি। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা নিজেদের উদ্যেগে কাঠের খাম ভেঙ্গে যাওয়ার বাশের খুটি দিয়ে পুলটি সংস্কার করে ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, পুলটির জন্য সরকারিভাবে যে টাকা বরাদ্দ আসছে সেই টাকা যদি কাজে লাগাতো তাহলে পুলটি দিয়ে আমরা ঠিকমতো যাতায়াত করতে পারতাম । যেখানে জন-প্রতিনিধিরা পকেটের টাকা খরচ করে জনগণের পাশে থাকার কথা সেখানে জনস্বার্থে ব্যবহৃত পুলের বরাদ্দের টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে।
এ ব্যাপারে হাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হালদার বলেন, কাজটি করা হয়নি তবে করবো। টাকা আমার এবং আমার ইউনিয়ন সচিবের যৌথ একাউন্টে জমা আছে। করোনার কারনে এতোদিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। অচিরেই কাজ শুরু করা হবে। ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানানেই। যদি বরাদ্ধ হয়ে থাকে খোজ নিয়ে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।
এমডি/এফএম/বাংলাবার্তা