প্রশাসনিক দক্ষতা না থাকায় চবির কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে পারেন ড. ইয়াহ্ইয়া

20

প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা না থকায় কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে পারেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাওয়া রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। তবে প্রশাসনিক দক্ষতা  এমনটাই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়ার ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। স্বভাবতই সরকারি চাকরিতে নির্দিষ্ট বয়স শেষে অবসরে পাঠানোর কারণই হলো কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়া। সেখানে তিনি উপাচার্যের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব কিভাবে সামলাবেন এমন প্রশ্ন অনেকেরই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছেন। এরপর চবিতে শিক্ষকতা করেছেন। চবির অনেক সাবেক শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করছেন। তাদের মধ্য থেকে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সহজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলেন, ড. ইয়াহ্ইয়া চবিতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেননি। হঠাৎ করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ চেয়ারে বসানোর তেমন কোনো যৌক্তিকতা নেই। হয়তো ছাত্র আন্দোলনের কারণে নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

শিক্ষকরা বলেন, উনাকে আমরা খুব কাছ থেকেই দেখেছি। স্বভাবগত কারণে তিনি মানুষের সঙ্গে একেবারে কম মেশেন। বিশেষ করে বয়স হওয়ায় শিক্ষকতাকালীন সময়ের শেষ দিকে তার মেজাজ খিটখিটে ছিলো বলেই আমরা জানি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনেকের সমন্বয়ে প্রশাসন পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু ড. ইয়াহ্ইয়ার পক্ষে সেটা সম্ভব হবে না বলেই মনে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব চবি শিক্ষার্থীদের ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। আন্দোলনের শুরুর দিকে সরকার পতনের তেমন সম্ভাবনাও ছিল না। তারপরও ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ কারণে কয়েকজন শিক্ষকের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরাসরি কয়েকজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্তের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসবের পরও তারা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অথচ ড. ইয়াহ্ইয়া ছাত্রদের আন্দোলনে দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা রাখেননি। তারপরও ঘুরেফিরে কেন তার নাম আসছে বুঝতে পারছি না।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত ছিল সাম্প্রতিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখা শিক্ষকদের মধ্যে থেকে কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া।

এদিকে উপাচার্য হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তবে প্রজ্ঞাপন জারি হতে একটু সময় লাগবে।