আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে ১৫০টিরও বেশি ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তিনটি ভ্যাকসিন, যেগুলো বিশ্ববাসীকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে দেখাচ্ছে আশার আলো।
অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন:
করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের গবেষকদের তৈরি ভ্যাকসিন। সোমবার অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের তৈরিকৃত এই ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর ও রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। তবে তার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটি গ্রহণের পর তেমন কোনো বিপজ্জনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেই ৭০ শতাংশ লোকের জ্বর ও মাথা ব্যথা কমেছে।
এদিকে গবেষকরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনেক বেশি আশাব্যঞ্জক। তবে এখনই তা পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেবে কিনা তা বলার সময় হয়নি। কারণ বড় ধরনের পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
এজেডডি ১২২২ ভ্যাকসিন:
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের পরেই অবস্থান করছে এজেডডি ১২২২ ভ্যাকসিন। এস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের গবেষকদের তৈরি এই ভ্যাকসিনটিও করোনা প্রতিরোধে বেশ আশা সৃষ্টি করেছে।
সোমবার ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এজেডডি ১২২২ ভ্যাকসিনটি মানবদেহে তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা করোনা প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
চীনের করোনা ভ্যাকসিন:
করোনার কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনও। দেশটির ক্যানসিনো বায়োলজিকস ইনকর্পোরেশন ও সেনাবাহিনীর গবেষণা ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ভ্যাকসিনটি বেশ সম্ভাবনাময় বলে দাবি করা হয়েছে।
এরইমধ্যে মেডিকেল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ৫০৮ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এটি প্রয়োগ করে বেশ আশাব্যাঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
এই ভ্যাকসিনগুলো ছাড়াও রাশিয়া, জার্মানিসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তৈরি করা কিছু ভ্যাকসিন মহামারি করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিইএইচও।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা