নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাটে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তারা ইন্টারন্যাশনালের নামী ব্র্যান্ডের ও দেশীয় কোম্পানির রাজস্ব ফাঁকি দেয়া সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম র্যাব-৭।
গত মঙ্গলবার বিকালে রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাটের তাহারিয়া স্টোরে র্যা ব-৭ এর হাটহাজারি সিপিসি ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নকল সিগারেট জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যা ব-৭ হাটহাজারি সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. সাইফুল্লাহ।
তিনি বলেন, নকল সিগারেট জব্দ হওয়ার বিষয়টি র্যা বের মিডিয়া উইংয়ে জানানো হয়েছে। তারা গণমা্ধ্যমকে বিস্তারিত জানাবে। এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না।
অভিযানে বিভিন্ন নামী কোম্পানির নকল সিগারেট ১৪২০ শলাকা এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকিকৃত কিছু দেশীয় কোম্পানির নকল সিগারেট এক লাখ ১৮ হাজার ৮৬০ শলাকা জব্দ করা হয়। এ সময় সিগারেটসহ তিনজনকে আটক করে র্যা বের হাটহাজারী সিপিসি ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
জব্দকৃত নকল সিগারেটগুলোর হলো, হেরিটেজ টোবাকোর সিটি গোল্ড, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোবাকোর এক্সপ্রেস, উইলসন, তারা ইন্টারন্যাশনাল টেবাকোর স্মার্ট ব্ল্যাক, পিকক, সানমার ও নেক্সাস এবং এফটি টোবাকো ইজিগোল্ড।
জানা গেছে, নকল সিগারেটগুলো রানীহাটের তাহারিয়া স্টোরে পাওয়া যায়। স্টোরটির মালিক ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি। জব্দকৃত নকল সিগারেটগুলো উৎপাদনের সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। তিনি তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ও বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর মালিক।
এজন্য তিনি সিগারেট জব্দ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ না করতে তারা নানা ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
এর আগেও বহুবার আব্দুস সবুর লিটনের বিরুদ্ধে নকল ব্র্যান্ডরোল ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তবে অজানা কারণে এ বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলতে রাজি নন।
জব্দকৃত এসব সিগারেট নকল ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে উৎপাদন করায় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের একটি প্রতিনিধি দল ভ্যাট ও প্যানেলকোর্ট আইনে মামলার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।
এসএস/বাংলাবার্তা