![Picsart_23-01-26_09-44-24-088](https://banglabarta24.com.bd/wp-content/uploads/2023/01/Picsart_23-01-26_09-44-24-088-696x464.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: পায়েল দত্ত। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ২০১১ সালে। দীর্ঘ ১৩ বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারেননি পায়েল। পড়ালেখা শেষ করতে না পারলেও এ-সময়ের মধ্যে তিনি সেরে ফেলেছেন বিয়ে। করছেন একটি বেসরকারি চাকুরীও। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে করছেন ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতি।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করছেন পায়েল। এ নিয়ে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।
তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, এক সময়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে এটি আমাদের বোধগম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য যোগদান করেছেন তিনিও পায়েল নামের ওই কথিত ছাত্রলীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করছেন। এটি খুবই দুঃখজনক।
পায়েল দত্ত ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে ডিভিএম পাশ করার পর ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন পায়েল। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে একাডেমিক মিটিংয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়, যেখানে অধিকাংশ শিক্ষক প্রত্যাহার না করার পক্ষে রায় দিলেও সাবেক ভিসি গৌতম বুদ্ধ একক সিদ্ধান্তে প্রত্যাহার করে। এখনো তার প্রত্যাহার আদেশের কোন বিহিত হয়নি।
বর্তমানে বান্দরবান ইউএনডিপির একটি প্রকল্পে কর্মরত পায়েল। এছাড়াও সিভাসুতে শুভ ক্যান্টিনের মালিকও সে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের টেন্ডার তার হাতে ধরেই যায়।
২০১৮ সালে তার রাজনীতি করে এমন ৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকে মাদকসহ আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় তাদেরকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃত মিতুন সরকার, তম্ময় হৃদয়, ইশতিয়াক আহমেদ ইশতি, তানভীর, আবেল রহমান সবাই পায়েলের রাজনীতি করে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসানের যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ব্যক্তিগত সহকারী খলিলুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতেন বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাছনিম ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাহিরে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
ছাত্র উপদেষ্টা ওমর ফারুক মিয়াজিকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রেখে দেন।
এসএস/বাংলাবার্তা