নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন বিভিন্ন পদে থাকতে পারেন না। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেত্রী শামীমা সীমা গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একাই ভাগিয়ে নিয়েছেন তিনটি পদ। এনিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে নানান সমালোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিনিয়তই মৌলবাদী জামাত-শিবিরের সঙ্গে যুদ্ধে করে এ ক্যাম্পাসে প্রগতির ঝান্ডা হাতে লড়াই করছেন এখানকার হাজারো ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তাদেরকে প্রায় সময় অবমূল্যায়ন করা হয়। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রকে সম্পূর্ণ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। শাখা ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে তিনটি পদে আসিন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আমরা এ ঘটনা তদন্ত করে যারা পদ বঞ্চিত তাদেরকে মূল্যায়ণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জানা গেছে, শামীমা সীমা নামের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগের নেত্রী একাই ভাগিয়ে নিয়েছেন তিনটি পদ। চলতি বছরের ৫ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চাদঁপুর জেলা শাখার কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সেখানে শামীমা সীমাকে সহ সভাপতি করা হয়। এর পর ৩১ জুলাই গঠিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। সে কমিটিতেও সীমা গুরুত্বপূর্ণ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ ভাগিয়ে নেন। এছাড়াও ৩১ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদকের পদ পান সীমা। এনিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে সমালোচনা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ মারুফ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একই ব্যক্তি একাধিক পদে আসীন হতে পারেন না, এই ব্যাপারে আমাদের অভিভাবক সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ভাই ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু ভাইকে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া জন্য অবহিত করছি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ সভাপতি নাজমুল হোসাইন বলেন, এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমাদের অভিভাবক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকে অবহিত করেছি। তারা বিষয়টি দেখবেন বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে শামীমা সীমার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসএস/বাংলাবার্তা