নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
একুশে পদকপ্রাপ্ত ও ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ৫৭ কোটি টাকা দাবির মামলায় জাতীয় বঙ্গলীগের সভাপতি শওকত হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন (অভিযোগপত্র) আমলে নিয়ে এই পরোয়ানা জারি করেন।
আদালতে ইউআইটিএস’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান মামুন, খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের প্রমুখ।
অভিযুক্ত শওকত হাসান মিয়া- অ্যাসার্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত বহুতল জামালপুর টাওয়ারের মালিক।
অ্যাডভোকেট মান্নান ভূঁইয়া বলেন, শওকত হাসান মিয়া বাদী হয়ে ইউআইটিএস বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান সুফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে
একটি মামলা দায়ের করেন। সুফি মিজানের স্বাক্ষর জাল করে সাক্ষীবিহীন একটি ভুয়া ও জাল বাড়ি ভাড়া চুক্তি তৈরি করে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা ইউআইটিএস কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন তিনি।
পরে ইউআইটিএস কর্তৃপক্ষ ওই জাল দলিল চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার সিএমএম আদালতে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করে। ঢাকার সিএমএম আদালত দুটি মামলার প্রাথমিক শুনানি
শেষে ঘটনা যাচাইয়ের জন্য পিবিআইকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে পিবিআইর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ফারুক হোসেন গত ১৪ জুন বঙ্গলীগের সভাপতি শওকত হাসান
মিয়ার দায়ের করা মামলায় অভিযোগটি ভিত্তিহীন মর্মে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যানের পক্ষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অন্যদিকে শওকত হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে ইউআইটিএস কর্তৃপক্ষের করা মামলায় অভিযোগের সত্যতা রয়েছে মর্মে শওকতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে।
বুধবার আদালত পিবিআইয়ের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে সুফি মিজানের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ও জাল বাড়ি ভাড়া চুক্তির দলিল তৈরি করে ৫৭ কোটি টাকা দাবির
অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামি শওকত হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এসএইচ/এফএম/বাংলাবার্তা