ইত্তেহাদুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার

ইত্তেহাদুল ইসলাম সুজন। চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ ভাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যে কোন কিছুর বিনিময়ে সে যেন নেতা বনে যাবেন। তাই টাকা নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের কাছে ধর্না দিচ্ছেন প্রতিনিয়তই।

তবে, তার বিরুদ্ধে রয়ে অভিযোগের পাহাড়।এছাড়াও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।

গত ৮ জুলাই চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। বিলুপ্ত হওয়ার দুমাস পার হলেও এখনো কমিটি দিতে পারেনি জেলা ছাত্রলীগ। কিন্তু অতি শিগগিরই এ ইউনিটের কমিটি গঠন হতে পারে বলে জানা গেছে। তাই ইতোমধ্যে নেতা-কর্মীদের দৌড় শুরু হয়েছে।

ওই সময় পদ প্রত্যাশিদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার আহ্বান করা হয়। এছাড়াও কয়েকজন বিবাহিত, মাদক ব্যবসায় জড়িত, মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট ও কিশোর গ্যাং লিডার ছাত্রলীগের পদ বাগিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। অনেকের নেই ছাত্রত্বও। তাদেরই একজন ইত্তেহাদুল ইসলাম সুজন। যিনি সদ্য বিবাহিত।

চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়েও রয়েছে তুমুল অভিযোগ। যেসব নেতা পদ পেতে মরিয়া হয়ে কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছেন তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে মাদক কারবার, বিবাহিত ও ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যাচাই-বাছাই করে করে দলের জন্য নিবেদিত ও ক্লীন ইজের অধিকারীরাই নেতৃত্বে আসবেন বলে জানান জেলা ছাত্রলীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, এখন ছাত্রলীগের আগের মতো তৃণমূলের ত্যাগী কর্মীরা স্থান পায় না। টাকার বিনিময়ে হঠাৎ এসে পদ পেয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দখল করে। চকরিয়ায় গত ৮বছরে ভালো নেতৃত্ব পায়নি। উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি পূর্ণাঙ্গও করতে পারেনি। মাত্র পৌরসভার একটি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পেরেছে। আমরা চাই রাজপথের ত্যাগী নেতারা এবার চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিতে স্থান পায়।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের উপর নির্ভরকরে নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে কমিটিতে কোন অছাত্র বিবাহিত মাদক ব্যবসায়ীর স্থান পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা