চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিলনমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দীর্ঘ ৬ বছর পর কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে এস এম সাদ্দাম হোসাইনের নাম ঘোষণা করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। সভাপতি হওয়ার পরেই কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগকে নতুনভাবে ঢেলে সাজান তিনি। কমিটি গঠনের পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নিজেকে নিবেদিত করেন মানুষের সেবায়। পুরস্কারও মিলে করোনা ভাইরাসের সম্মুখ যোদ্ধার।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রিয় সংগঠনের মানুষদের সাথে কাটাতে পারেননি সময়। করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ কিছুটা কমলে স্বস্তি মিলে তার। তাই চট্টগ্রামে তার সৌজন্যে আয়োজন করা হয় ছাত্রলীগের মিলনমেলা। আর এ মিলনমেলা পরিণত হয় উৎসবে। ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তারা যুক্ত হওয়ায় এ আয়োজন বহুগুণে সমৃদ্ধ হয় বলে জানান সাদ্দাম হোসাইন।

এসময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। নিজের ব্যক্তি জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। আন্দোলন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। দেশের জন্য দল নেত্রী শেখ হাসিনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার শপথ নেন।

মিলন মেলায় অংশ নেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন টিপু, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসাইন চৌধুরী তপু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জাব্বার সুজন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার সাঈদ ইরান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য সালেহ আকরাম বাপ্পি।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকে নানান কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সংগঠনকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে কাজ চলছে। তার মধ্যে আবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াতে কক্সবাজার জেলার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়েছে। সবমিলিয়ে কোথাও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারিনি। এখন একটু করোনার সংক্রামণ কম হওয়াতে প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, জেলার ভাইয়ের সাথে কিছু সময় কাটাতে এসেছি। যেখানে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরে আমাদের অভিভাবক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান জয় ভাই ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদা ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হওয়ায় আমাদের আনন্দ আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রিয় দুই ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা।

এসএস/এমএইচ/টিসি