ফাহিম আহমেদ শাফায়াত
কি চমকে গেলেন? এতদিন আপনি হয়তো জেনে বা শুনে আসছেন যে কিট দিয়ে কোভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাস যখন বিশ্ব ব্যাপী তান্ডব চালাচ্ছে তখন প্রতিটি দেশই কম বেশী কিট সংকটে ভুগছে। সেজন্য আরও দুই একটি বিকল্প উপায় হয়ত বের হয়েছে রোগী শনাক্ত করার জন্য। “কিন্তু কন্ঠ স্বর দিয়ে করোনা রোগী শনাক্ত হবে? পাগলের প্রলাপ নয়তো “, চমকে উঠে আপনারা হয়ত এমন মন্তব্য করে বসবেন। তাই আপনাদের জানানো যাক এই ভবিষ্যৎ আবিষ্কার সম্পর্কে।
বর্তমান বিশ্বের দুইটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় চেষ্টা করছে একটি মোবাইল অ্যাপস তৈরী করার। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী কাশি ও কন্ঠস্বর শুনে বুঝা যাবে তার করোনা হয়েছে কিনা। তবে ব্যবহার কারীর গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন এর ডেভেলপার দল।
ক্যামব্রিজ ও কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল পৃথক পৃথক ভাবে অ্যাপসটি তৈরীর জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বহু লোককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে গবেষণার অংশ হিসেবে। তাদের বলা হয়েছে একটি কম্পিউটার স্পিকারের সামনে কাশি দিতে এবং শ্বাস -প্রশ্বাস নিতে। এভাবে তাদের থেকে ডাটা সংগ্রহ করা হয়। এমনকি তথ্য উপাত্ত হিসেবে তাদের বয়স, উচ্চতা, রক্তচাপ ইত্যাদি ও সংযুক্ত করা হয়। করোনা পজিটিভ রোগীদের ও তারা আমন্ত্রণ জানায়। তাদের থেকেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় । করোনা পজিটিভ রোগীদের কন্ঠ স্বর স্বাভাবিক লোকের চেয়ে ভিন্ন থাকে। তাই সহজেই পার্থক্য করা যাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর কন্ঠ থেকে স্বাভাবিকদের কন্ঠ স্বর। এভাবে অ্যাপসটি কন্ঠস্বর শুনে করোনা রোগী শনাক্ত করতে পারবে এমনটা জানায় গবেষকদের একজন।
তবে তারা জানিয়েছেন অ্যাপসটি বাজারে আসতে আরও দুই মাসের মত সময় লাগবে। কেননা তারা এখনও ডাটা সংগ্রহের পর্যায়ে রয়েছে। কাল ডাটা সংগ্রহের প্রথম দিনে অংশ নেয় প্রায় ১২০০ লোক তাদের মধ্যে ২২ জন করোনা পজিটিভ ছিল।
অ্যাপসটি বাজারে আসার ব্যাপারে গবেষক দলের একজন প্রফেসর ম্যাসকলো বলেন, ” অ্যাপসটি তৈরী হতে বেশি সময় লাগবে না বলে মনে হচ্ছে। তবে এটি নির্ভর করে কতটা ডাটা আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি তার উপর।
এমএম/ এমএইচ/বাংলাবার্তা