নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে সেলিম আকন্দ(২৫)নামের এক তরুণ ডিপ্লোমা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ২.৩০মিনিটের দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান ওই চিকিৎসক।
তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের উলুসারা গ্রামে।রাজধানীর এসপিকেএস ম্যাটস থেকে ৩বছরের একাডেমীক কোর্স শেষ করে নারায়ণগঞ্জে সদর হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেন এবং পরবর্তীতে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনা পারিশ্রমিকে সদর হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে গত মার্চ মাসের ১৪থেকে২৪তারিখ পর্যন্ত তিনি সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ডিউটি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সালাম সরকার কালের কণ্ঠকে জানান, কভিড-১৯ এর অন্যান্য উপসর্গ থাকলেও ওই ডিপ্লোমা চিকিৎসকের শ্বাসকষ্ট ছিল না। এরপরও তাকে কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফলে তার নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর)পাঠিয়েছি।একইসঙ্গে ওই ডিপ্লোমা চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকা তার মা-বাবা,দুই ভাই ও এক বোনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়।ডা. আবদুস সালাম সরকার বলেন, ‘আইইডিসিআর-এর নির্দেশনা মতো (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী) মরদেহের দাফন সম্পন্ন করেছি।’
এইদিকে এই গঠনাকে কেন্দ্র করে ডিপ্লোমা চিকিৎসক দের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট’স এ্যাসোসিয়েশন,এর নেতাগণ সহ সাধারণ ডিপ্লোমা চিকিৎসকগণ সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে মরহুমের বিদায়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এছাড়াও সংগঠনের নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন সারা দেশে হাজার হাজার উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার/ডিএমএফ/ইন্টার্নীরত ডিপ্লোমা চিকিৎসক রয়েছে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড১৯ প্রতিরোধে ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ জেলা সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে,কিন্তু দুঃখের বিষয় ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের কার্যক্রমকে স্বাস্থ্য বিভাগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিগণ সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করছে না,তাই আমাদের সুরক্ষার জন্য পিপিই সহ অনন্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত ও সড়াসড়ি আপনার সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা এবং হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা