ফাহিম হাসান
গতকাল যে চাল কিনলাম ৫০ টাকা করে, করোনা অাতঙ্কে আজ সে চাল ৫৮ টাকা! ১৬ টাকার অালু আজ ২২টাকা কেজি! এছাড়া একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ, টমেটো, পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০-১৫ টাকা।
যতদিন করোনার প্রাদুর্ভাব থাকবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এভাবে বাড়বেই।
এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়ী অপেক্ষায় থাকেন এমন পরিস্থিতির জন্য। লকডাউনে এদের লাঘাম ধরবে কে?
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বলছে শুধু ঢাকাতেই রিকশা চালকের সংখ্যা ২২ লাখের মতো। রিকশা প্যাডেল না ঘুরলে যাদের অনাহারে দিন কাটে।
আবার অন্যান্য দিনমজুর যেমন; বাস ড্রাইভার, হেল্পার, কুলি, ভিক্ষুক, মিস্ত্রি, মাঝিদের সংখ্যা পুরো দেশে কত? লকডাউনে এদের খাবার জোগাবে কে? আমরা কি তাঁদের দায়ভার নিতে প্রস্তুত?
লবণের দাম বেড়ে যাবে এ গুজবে যেখানে ৩০ টাকার লবণ ১০০ টাকা হয়ে যায়, লকডাউনে বাজারে পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক হবে ভাবা যায়?
জাস্টিন ট্রুডো কানাডাকে লকডাউন করে পুরো দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের সে সামর্থ্য নেই। তাই লকডাউনের কথা চিন্তা না করে কীভাবে চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি করা যায়, ডাক্তারের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উপকরণ সরবরাহ করা যায় চিন্তা করুন।
এছাড়া বিদেশ থেকে করোনা নির্ণায়ক কীট আনান, মানুষকে সচেতন করুন, বাজারকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ভাবুন। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করুন।
অন্যথায় বাংলাদেশ এমন লকডাউন হবে,
যে লক আর কোনদিন খুলবে না।