সাফায়াত
তুরস্ক ও রাশিয়ার দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে সিরিয়ার যুদ্ধরত ইদলিব প্রদেশে অস্ত্রবিরতি হবে। তুরস্কের যুদ্ধ মন্ত্রী হুলুশি আকার এ কথা জানিয়েছে । তিন দিনের এই আলোচনায় দুই দেশ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ।
এই সপ্তাহে রাশিয়া ও ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ইদলিব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানে পৌছাতে পেরেছে। যা ইদলিব সহিংসতা ১০ লাখের অধিক বাস্তুচ্যুতের জন্য সুখ খবর হতে পারে ।
এই সপ্তাহে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল আঙ্কারায় পৌছায়। তুরস্ক ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনায় অস্ত্র বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এবং সিরিয়ার ইদলিবের M4 এ যৌথ পাহারা ও নজরদারির নিয়ে ও আলোচনা হয় এ ব্যাপারে যুদ্ধ মন্ত্রী হুলুশি আকার বলেন, “আমরা অবশেষে একটি চুড়ান্ত চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছি। এই মুহুর্তে আক্রমণ বন্ধ আছে। অস্ত্র বিরতি নিয়ে এখনও আলোচনা হচ্ছে। তবে M4 এ রাশিয়া ও তুরস্কের যৌথ পাহারা ১৫ ই মার্চ থেকে আরম্ভ হবে।
তুর্কী প্রেসিডেন্ট সিরিয়ালে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ” তুরস্ক ইদলিব এ ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাতে দ্বিধা বোধ করবে না। যদি এই অস্ত্র বিরতি ভাঙা হয়। যুদ্ধ মন্ত্রী আকার জানায় বৃহস্পতিবার ইদলিবে কর্মরত সকল সেনা স্ব স্ব অবস্থানে ছিল।
তবে রাশিয়া সিরিয়ার পক্ষ নিয়ে তুরস্কের অভিযানের বিরোধীতা করতেছিল। রাশিয়া বরাবর ই অভিযোগ করেতেছিল যে তুরস্ক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় আক্রমণ করছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষ নিয়ে রাশিয়া শুরু থেকেই তুরস্কের বিরোধীতা করছে।
তবে এই যুদ্ধে তুরস্কের ৬০ জন সেনা ও সিরিয়া ২২০০ সেনা প্রাণ হারায় এমনকি এই যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় ১০ লাখের অধিক মানুষ। তবে আশা করা যায় অস্ত্র বিরতি ফলে সিরিয়ার অবস্থা শান্ত হবে ।
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা