চবি প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা অনুষদ খুলে দেওয়ার দাবিতে এবং পুরাতন কলা ভবনের সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে সোমবার দুপুর ১২টায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কলা অনুষদ সংসদ।
কলা অনুষদের সভাপতি জিতায়ন চাকমার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন কলা অনুষদের সাধারণ সম্পাদক সাজাং চাকমা।
এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চবি সংসদের সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক প্রত্যয় নাফাক। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবীর এইচ তিতাস এবং কোষাধ্যক্ষ কিশোর বড়ুয়া ধ্রুব। পাশাপাশি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উৎপল চাকমা, পালি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুইম্রোসাই মারমা, ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রোনাল চাকমা প্রমুখ।
ছাত্র ইউনিয়নের চবি সংসদের সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুর তাঁর বক্তব্যে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নির্মানাধীন নতুন কলাভবন এবং কলা অনুষদের নবনির্মিত ক্যান্টিন খুলে না দিতে পারা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতার পরিচয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের নামে গাছকাটাসহ অন্যান্য প্রকল্পে অর্থব্যয় না করে ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সংকট ও শিক্ষার্থীদের অন্যান্য মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রশাসন যদি মনযোগী হতো তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত অর্থে জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা হয়ে উঠতো।”
ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রত্যয় নাফাক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বাজেটের একটি বড় অংশ যেখানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও পেনশনের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের আবাসন, পরিবহন ও গবেষণা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই নগন্য। নতুন কলা ভবন খুলে না দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশাসনের বিরূপ আচরণেরই প্রতিফলন। এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সোচ্চার হতে হবে।”
কলা অনুষদের নেতা কিশোর বড়ুয়া ধ্রুব ও আবীর এইচ তিতাস তাঁদের বক্তব্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন অবিলম্বে নতুন কলা ভবন ও কলা অনুষদের ক্যান্টিনের কার্যক্রম শুরু না করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাঁরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
মানববন্ধন শেষে কলা অনুষদের সভাপতি জিতায়ন চাকমা আগামী দিনে সকল ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলনে চবির সকল শিক্ষার্থীকে পাশে পাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।