বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যাত্রা শুরু করলো চট্টগ্রামের স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ দেয়া ১০ টি বাস। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাসগুলোর উদ্বোধন করেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ১০ মিনিট থেকে স্কুলবাসগুলো চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ঘুরে স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্রদের বহন করবে। ১০টি বাস ২টি রুটে মর্নিং ও ইভিনিং শিফটে চলবে। দ্বিতল এই বাসগুলোর প্রতিটিতে ৭৩টি করে আসন রয়েছে।
১ নং রুটের বাসগুলো বহদ্দারহাট থেকে ছেড়ে বাদুরতলা, মুরাদপুর, চকবাজার, গণি বেকারী, জামালখান, চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালী হয়ে নিউমার্কেট যাবে।
১ নং রুটের বাসগুলো বহদ্দারহাট থেকে ছেড়ে বাদুরতলা, মুরাদপুর, চকবাজার, গণি বেকারী, জামালখান, চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালী হয়ে নিউমার্কেট যাবে।
সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বাসগুলোতে যাতায়াত করতে পারবে। স্কুলের পরিচয়পত্র দেখিয়েই তারা বাসে উঠতে পারবে। যেখানেই নামুক না কেন, ভাড়া শুধু ৫ টাকা। ভাড়া পরিশোধও করতে হবে অভিনব পদ্ধতিতে। ভাড়া আদায়ের জন্য সুপারভাইজারের বদলে বাসের সামনে ও পিছনের অংশে দুটি বক্স থাকবে তালাবদ্ধ। ‘সততা বক্স’ নামের এই বক্সগুলোতে নিজের উদ্যোগেই ফেলতে হবে ওই ৫ টাকা।
১ নং রুটের বাসগুলো বহদ্দারহাট থেকে ছেড়ে বাদুরতলা, মুরাদপুর, চকবাজার, গণি বেকারী, জামালখান, চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালী হয়ে নিউমার্কেট যাবে। একইভাবে নিউমার্কেট থেকে ছেড়ে কোতোয়ালী, আন্দরকিল্লা, জামালখান, চকবাজার, বাদুরতলা হয়ে বহদ্দারহাট যাবে। অন্যদিকে ২ নং রুটের বাসগুলো অক্সিজেন, মুরাদপুর, ২ নং গেইট, জিইসি মোড়, ওয়াসা, টাইগারপাস হয়ে আগ্রাবাদ যাবে। একইভাবে আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, ওয়াসা, জিইসি মোড়, ২ নং গেইট, মুরাদপুর হয়ে অক্সিজেন যাবে।
২ নং রুটের বাসগুলো অক্সিজেন, মুরাদপুর, ২ নং গেইট, জিইসি মোড়, ওয়াসা, টাইগারপাস হয়ে আগ্রাবাদ যাবে।
২ নং রুটের বাসগুলো অক্সিজেন, মুরাদপুর, ২ নং গেইট, জিইসি মোড়, ওয়াসা, টাইগারপাস হয়ে আগ্রাবাদ যাবে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বাস বরাদ্দের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিকভাবে দুটি রুটে বাস চলাচল করলেও পরবর্তীতে চাহিদার অনুপাতে বাস ও রুট বৃদ্ধি করা হবে বলে জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য ভাড়া পাঁচ টাকা করে রুট নির্ধারণ করে ওই বাবদ সাড়ে চার লাখ টাকা আয় হলেও ব্যয় হবে সাড়ে নয় লাখ টাকা। দোতলা বাসের চালক সংকট ও পরিবহন ব্যয়ের সংস্থান নিয়ে দীর্ঘ নয় মাস ঝুলে থাকে বাস চলাচলের বিষয়টি। গত ২৬ জুন বাসের রুট, রক্ষণাবেক্ষণ ভাড়াসহ নানা বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতামত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করা হয়। বাসগুলো তদারকির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ঘাটতি পূরণের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাতের সাথে মাসিক পাঁচ লাখ টাকা হারে বছরে এক কোটি ২০ লাখ টাকায় ২ বছরের জন্য একটি বিজ্ঞাপনের মাসিক চুক্তি করা হয়েছে।