চবি প্রতিনিধিঃ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মোহাম্মদ বলেছেন, আমি এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এখানে আমার বহু স্মৃতি রয়েছে। আমার খুব শখ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে বেড়ানোর। কিন্তু সময় হয়ে উঠে না। এক সময এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এত গাছপালা ছিল না, পাহাড় ন্যাড়া ছিল। এখন সব সবুজ হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউট অ্যালামনাইয় অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ ছোট দেশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১ শ লোক বসবাস করে। তবুও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। এটা বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে একটি বিস্ময় ও কেস স্টাডি। এর কারন দেশ ছোট হলেও উর্বর।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির প্রতি খেয়াল করে না। আমি অবাক হয়ে যায়, দেড় থেকে দুই বছর আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন্স এর পাশে রাস্তা নির্মান করতে গিয়ে ৩০০ ফুট পাহাড় কেটে ফেলছে। বিষয়টি আমাকে খুব পীড়া দিয়েছে। সরকারী, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃতির প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ইনিস্টিটিউট প্রাঙ্গণে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল।এতে সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান, শুভচ্ছা বক্তব্য প্রফেসর গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন প্রমুখ।