Friday, July 18, 2025
Homeবিভাগচট্টগ্রাম৪০ বছর পর কমিটি পেয়ে তৃণমূলে আনন্দের বন্যা

৪০ বছর পর কমিটি পেয়ে তৃণমূলে আনন্দের বন্যা

কৃঞ্চ দেবনাথঃ

কোন কমিটি হয়নি ৩০ বছর। আবার কোন কোন কমিটি হয়নি ৪০ বছরেও। যার কারণে তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি কোন নেতৃত্ব। ফলে প্রতিনিয়তই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও তৃণমূলকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন কলেজ, থানা ও ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এতে তারা বহুলাংশে বাহবা পেলেও দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাংয়ের পরিচালনাকারী গডফাদাররা বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

যে কমিটিগুলো ইতোমধ্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, আকবর শাহ, বন্দর, ও পতেঙ্গা থানা। এছাড়াও দুটি কলেজ চট্টগ্রাম কলেজ, ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে কমিটি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০,১৮,১ এবং ২ নং ওয়ার্ডের কমিটি দিয়েছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, আমরা বেশ কিছু কর্মী সভা ও মতবিনিময় সভা করেছিলাম । যার হেডিং ছিল এ রকম ‘মনের কথা বলি’। যেখানে শুধু তৃণ মূলের নেতাকর্মীরাই কথা বলেছে। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের কথা শুনেছি। তাদের একটাই দাবি ‘কমিটি চাই’। অনেকেই তো এমনও বলছে যে, আমরা তো সবাই পদ পাবোনা অন্তত ছোট ভাইগুলো ছাত্রলীগ পরিচয়ে বেড়ে উঠতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, কিশোর গ্যং যারা তৈরী করেছে তারাই কমিটি চায়না। কারণ তাদের সে আধিপত্য ঠিকে থাকবেনা।জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা তৃণমূলকে শক্ত করতে হবে। আমরা সে কাজটিই করতেছি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাত হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের সর্ববৃহৎ এবং প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শুরু থেকে এই সংগঠনটি ছাত্রদের এবং দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে পাশে থেকে আসছে। গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় দলের ভেতর এবং বাইরে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখতে সদা তৎপর। দীর্ঘদিন পর যে কমিটিগুলো গঠন করা হচ্ছে সেটি খুবই প্রসংশনীয় উদ্যোগ। কমিটিতে যাতে ত্যাগী নেতা-কর্মীরাই স্থান পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন, তৃণমূল হলো সংগঠনের প্রাণ। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলের ভুমিকা অনেক বেশি। তাই তৃণমূলের কমিটি গঠনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শ এ দুটি বিষয় সমুন্নত রেখে কমিটি গঠন করতে হবে। আর কমিটি গঠন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সভপতি মফিজুর রহমান বলেন, ইমু-দস্তগীর যে উদ্যোগ নিয়েছে নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রসংশনীয় উদ্যোগ। তৃনমূলকে শক্তিশালী করার জন্য ওয়ার্ড ও থানা কমিটি অত্যন্ত জরুরী। সুদীর্ঘদিন ধরে সেখানে কেউ কমিটি দিতে পারেনি তারা সেখানে কমিটি দিতে সক্ষম হয়েছে। সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তবে, কমিটিতে যোগ্যদের অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছে এমন ছাত্রনেতাদের পদ দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments