হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে থানায় গর্ভবতী, নবজাতকের দায়িত্ব নিল হাসপাতাল কতৃপক্ষ

বিশেষ প্রতিবেদক:


এক গর্ভবতী নারী থানার সামনে এসে কান্নাকাটি করছিলেন। বাহির গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করেন। তখন মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মেয়েটি জানান, অনেক ঘুরেও কোন হাসপাতালে তিনি সিজার করতে পারছেন না। করোনা কারণে তারা সিজার করতে চাচ্ছেন না, আর যারা চাচ্ছেন তারাও টাকা দাবি করছে অনেক।


পরে ওসি মেয়েটির জন্য পুলিশের এক নারী সদস্যকে ডেকে এনে নিজ কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করেন হ্যাপী জেনারেল হাসপাতালে মালিক ডাঃ রাশিদা রিয়াজ হ্যাপীর সঙ্গে। সম্মতি পেয়েই ওই নারীর সাথে একজন পুলিশ অফিসারকে দিয়ে পাঠিয়ে দেন হাসপাতালে। ততক্ষণে প্রসূতি ব্যাথা শুরু হলে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়।

ডাঃ হ্যাপীর নিজেই দায়িত্ব নেন সিজারের। পরে ফুটফুটে কন্যা সন্তান জম্ম দেন ওই নারী। সকলে মিলে মেয়েটির নাম রাখা হয় শ্রীমতি দীপিকা রানী। মাতা শ্রীমতি লিপি রানী হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যখন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জেনে কাঁদছিলেন। তখনই সবাই জানতে পারে বাচ্চা পেটে আসার পরই পালিয়েছে তার স্বামী। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ মেয়েটির বেড়ে ওঠার সকল দায়িত্ব নেন।


আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচাজ রিজাউল হক দিপু জানান, এটা আমার দায়িত্ব ছিল। অসহায় মানুষকে সহায়তা করা প্রত্যেকের উচিত। এতে করে অসহায় মানুষটির জীবনটাই বদলে যেতে পারে। এসময় তিনি ডাঃ হ্যাপীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, অসহায় মেয়েটির পলাতক বাবাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।
আর ডাঃ রাশিদা রিয়াজ হ্যাপী বলেন, ভাল কাজ করলে ভালই লাগে। নবজাতকের সকল দায়িত্ব নিয়েছি। যথাযথভাবে তা পালনের চেষ্টা করবো।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা