Thursday, July 10, 2025
Homeতারুণ্যস্মৃতির পাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন

স্মৃতির পাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন


এম কামিল আহমেদ

ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল দেশের সেরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কলেজে যাওয়ার পর সে স্বপ্ন আরো বৃদ্ধি পায়। অবশেষে মহান মালিকের অশেষ কৃপায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হয়।

বড় ভাই – আপুদের মুখে হরেক রকমের গল্প শুনেছি ভার্সিটি লাইফ নিয়ে। শুনেছি প্রেজেন্টেশন দেওয়ার গল্প,   ভার্সিটির বাসে চড়া, আর ও কত কি!  শেষমেশ নিজে ঐ বাসের যাত্রী হতে পেরে খুশি! মহা খুশি।

দিনটি ছিল মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২০। আমার জীবনে পরম আনন্দের ছোঁয়া নিয়ে এসেছিল। ভার্সিটি লাইফের প্রথম ক্লাশ বলে কথা। আগের দিন রাত থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল মনে, জীবনের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হবে।  কত অপরিচিত পরিচিত হবে। মনের ভেতর খুশির জোয়ার বইছিল।

ভোরের আলো ফোটতে না ফোটতেই ঘুম ভাঙ্গে। তড়িঘড়ি কর নাশতা সেরে নতুন জামা গায়ে দিয়ে একদম পরিপাঠি। রওয়ানা দিলাম ক্যাম্পাসের দিকে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ক্যাম্পাসে পৌঁছে যাই। আমার মতো আরো কত শত নবীনের পদচারণায় তখন ক্যাম্পাস মুখরিত।

অবশেষে শুরু হলো ডিপার্টমেন্ট এর পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়ার পালা, স্যার – ম্যাম আর বড় ভাই – আপুদের পরম মমতায় ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নিলেন আমাদের। দিলেন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য। প্রায় ঘন্টা দুয়েকের মতো চলল অনুষ্ঠান। শেষমেশ, চেয়ারম্যান স্যারের সমাপনী বক্তৃতায় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো, আমাদের হাতে দেওয়া হলো ফাইল, কলম, রুটিন আর হালকা নাশতার প্যাকেট। জীবনের এ দিনটি স্মৃতির পাতায় চিরদিন অমলিন হয়ে থাকবে।

কত কাটখড় পুড়িয়ে সুযোগটা পেয়েছি। মুক্ত চিন্তার পবিত্র ভূমি খ্যাত এ জগতে নিজেকে আরো শাণিত করে পূর্ণাঙ্গ একজন মানুষ হয়ে দেশ মাতৃকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই। সব রকমের অশুভ থেকে মুক্ত থেকে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যেতে চাই। এটাই বড় চাওয়া।

শিক্ষার্থীঃ ১ম বর্ষ,
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments