সব চলুক, মসজিদ-মুসল্লি নিয়ন্ত্রণে থাকলেই হয়

মুমিন মাসুদ:

মসজিদ থেকে মানুষকে বিরত রাখতে যে পরিমাণ উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়েছে- তার সামান্যতম নজির যদি বাজার কিংবা ব্যাংকে পরিলক্ষিত হতো, তাহলে করোনার সংক্রমণ আরো নিয়ন্ত্রণে থাকতো। যারা বাজারে মানুষের উদ্দেশ্যহীন ঘুরাফেরা ও চা খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখেনি, যারা ব্যাংকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে বাধ্য করতে পারেনি- তাদের মসজিদে মুসল্লি নিয়ন্ত্রণের অধিকার নেই।


যারা ইসলামকে ভয়ে দূরে ঠেলে রাখে এই মহামারি পরিস্থিতিতেও তাদের কর্মকান্ড থেমে নেই। যারা ভেবেছেন মসজিদ থেকে মানুষকে দূরে রাখলেই এই করোনা থেমে যাবে, তারাই বাজারে আর ত্রানে সকল ধরনের প্রোটেকশানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন।
গার্মেন্টস খুলে শ্রমিকদের জীবনকে বিপন্ন করে করোনাকে গ্রামে-গঞ্জে ঠেলে দিয়েছেন।অথচ মসজিদের ক্ষেত্রেই এতোটা সচেতনতা আমাদের ভাবায়। অন্যান্য সেক্টর যেহেতু নিরুপদ্রবে চলছে তবে মসজিদ কেন এতো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন!

অবস্থাটা এমন যে- সব চলুক, মসজিদ-মুসল্লি নিয়ন্ত্রণে থাকলেই করোনা মোকাবেলা সম্ভব।


মসজিদ খুললেই করোনার প্রকোপ কমে যাবে না, বরং বাড়বে। কিন্তু গার্মেন্টস? মন্দির? কিংবা বাজার ও ব্যাংক? ওগুলো বাধ্য হয়ে খুলেছেন? তাহলে মসজিদ কেন ধরে রেখেছেন? রেখেই বা লাভ কি? ছেড়ে দিন। বাঙালি একযোগে মরে যাক।

লেখক: সাবেক সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা